ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে তরুণ-যুবক কিংবা বৃদ্ধ সবার আনাগোনা। পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষার্থে এই ফেসবুক দারুণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি সামাজিক নানা উন্নয়নমূলক কাজেও ফেসবুক উপকারে আসে। তাছাড়া তারকাদের নতুন নতুন কাজের আপডেট খবর পেতেও ফেসবুকই এখন আসল ভরসা। কিন্তু এই ফেসবুককে পুঁজি করে অশ্লীলতার রাজ্য তৈরি করে ফেলেছেন কিছু মডেল। যারা এরই মধ্যে নগ্নতা ও অশ্লীলতার জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই থামছে না তাদের অশ্লীল আগ্রাসন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন মডেল রেশমি এলোন ও নায়লা নাঈম। এই দু’জনের মধ্যে রেশমি এলোনের অশ্লীলতার মাত্রাটা সীমাতিরিক্ত বলা চলে। তার ফেসবুক পেজে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায়, তিনি কি করছেন! নিয়মিত অশালীন পোশাকে ফেসবুক লাইভে আসা, অশ্লীল ছবি পোস্ট করা এমনকি অকথ্য নোংরা ভাষায় সেই ছবিগুলোর ক্যাপশন লেখা তার নিয়মিত কাজ। এছাড়া কিছু নিন্মমানের গানের মডেলিং করতেও দেখা যায় তাকে। তবে সেসব গানের ভিডিওকে অশ্লীলতার আরেক রূপ বলা ছাড়া উপায় নেই। কিছু দিন আগে তিনি তার ফেসবুকে এক লোকের সঙ্গে একটি সেলফি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, এই লোকের সঙ্গে আমার সেক্স ভিডিও দেখতে পাবেন শিগগিরই।

111-2-16রেশমি এলোনের এই নোংরামি যে তার ভক্তরাও পছন্দ করছেন, এমনও না। তার অধিকাংশ পোস্টের কমেন্ট বক্স চেক করলে বোঝা যায় তার অবস্থান কি। প্রত্যেকটি কমেন্টেই তাকে বাজেভাবে উপহাস করা হচ্ছে। যেই ভক্তদের জন্য তিনি এসব করে বেড়াচ্ছেন, তাদের কাছেই তিনি স্বাভাবিক নিয়মে হেয়-প্রতিপন্ন হচ্ছেন। তবুও যেন তার সুবুদ্ধির উদয় হতে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে নিজের ফেসবুকের পেজকে যেন পর্নো সাইট বানিয়ে ফেলেছেন নায়লা নাঈম। নিয়মিত তিনি বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করছেন নিজের ফেসবুক পেজে। অবশ্য সেগুলো তার ভিডিও না। তবে ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে তিনিও কম যান না। অশালীন পোশাকেই যেন স্বাচ্ছন্দ্য তার। কয়েক মাস আগে তিনি একটি সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন। আদতে সেটি সমালোচিতই হয়েছিলো। এছাড়া কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করতে দেখা গেছে নায়লা নাঈমকে। কিন্তু সেসব মিউজিক ভিডিওতে তিনি কথিত সাহসিকতা অর্থাৎ অশালীনতাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

রেশমি এলোন কিংবা নায়লা নাঈম, এদের আবির্ভাবের পর থেকেই বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু তারাও থেমে নেই। তারা মনে করেন, বিতর্কই যেন আলোচনার পয়লা ধাপ। কিন্তু দর্শক কিংবা সমালোচক কারও কাছ থেকেই তাদের জন্য দু’বাক্য প্রশংসা মেলে না। বরং তাদের বলা হয় অশ্লীলতা স্বর্বস্ব মডেল!

এদিকে রেশমি এলোন ও নায়লা নাঈমদের মতো মডেলদের জন্য তরুণ প্রজন্মের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। সমাজ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা এসব দেখে ভুল পথে অনুপ্রাণিত হবে। তাই সামাজিক মাধ্যমে এমন অবাধ নোংরামি বন্ধ যেন এখন সময়ের দাবি। ফেসবুক ব্যবহারের একটি নীতিমালা কিংবা সুষ্ঠু কাঠামো তৈরি করারও দাবি উঠছে অনেকের কাছ থেকে। যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচ্ছেতাই অশালীনতা নয়, বরং সামাজিকতা বজায় থাকে।

111-3-2

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn