রাতে ঘুমানোর আগে ফেসবুকে না ঢুকলে যেন ঘুমই আসে না। হোয়াটস অ্যাপ কিংবা ভাইবারে কোন মেসেজ আসলো কিনা সেটাও তো দেখতে হবে। গবেষণা বলছে, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্য়ে প্রায় ৮০ শতাংশই রাতে শুতে যাওয়ার সময় বালিশের পাশে মোবাইল ফোন রাখেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম না আসছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত ফেসবুকিং। ঘুমানোর সময় অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কী হয়? গবেষকরা বলছেন, অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলো চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। আর দিনের পর দিন রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে একে একে বাসা বাঁধতে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ।

২. ঘুম কমে যায়: মোবাইল ফোনের আলো নানা ভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায়। কারণ আমাদের ঘুম কতটা ভাল হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের উপর।

৩. দৃষ্টিশক্তি কমে যায়: অন্ধকারে অনক সময় ধরে মোবাইল ঘাটলে তার নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পরতে থাকে। যে কারণে চোখে যন্ত্রণা হতে পারে। আর দীর্ঘদিন ধরে যদি এমনটা হতে থাকে, তাহলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে কিন্তু!

৫. ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে: মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, সেই সঙ্গে আরও সব হরমোনের ক্ষরণে বাঁধা আসতে শুরু করে, ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে, যা ক্যান্সার রোগে, বিশেষত ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn