রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। ফুটবল মহযজ্ঞ নিয়ে যখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা, ঠিক সেই মুহূর্তে বোমা ফাটালেন মিশেল প্লাতিনি। সাবেক উয়েফা সভাপতির মন্তব্য, ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালের পথ ঠিক করা ছিল আগেই! ’৯৮ সালের ওই আসরে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক ফ্রান্স ও ব্রাজিল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে যেন ফ্রান্স-ব্রাজিলের দেখা না হয়, সেভাবেই সাজানো হয়েছিল ড্র। ২০ বছর পর এই ঘটনা সামনে এনেছেন ফিফা ও উয়েফা থেকে বহিষ্কৃত সাবেক কর্তা প্লাতিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের চমৎকার সব স্মৃতি সঙ্গী করে ফুটবল সংগঠনে মনোযোগ দিয়ে সেখানেও সাফল্য পেয়েছেন, কিন্তু দুর্নীতির দায়ে এখন সব হারিয়েছেন তিনি। এই প্লাতিনিই ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে আয়োজক কমিটির যুগ্ম প্রধান ছিলেন। এতদিন পর তিনি জানিয়েছেন, ফ্রান্সকে সুবিধা দিতে বিশ্বকাপ ড্রয়ের সময় ‘চাতুরি’ করেছিলেন তারা। ড্রতে ব্রাজিল ও ফ্রান্সকে এমন জায়গায় রেখেছিলেন, যাতে ফাইনালে আগে কখনও দেখা না হয় দল দুটির। ফ্রান্স আয়োজক হওয়ায় এমনিতেই জায়গা করে নিয়েছিল মূল পর্বে। আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ব্রাজিল সরাসরি টিকিট পায়। তাই পছন্দ মতো গ্রুপে দুই দলকে বসাতে কোনও সমস্যাই হয়নি আয়োজকদের। পুরো বিষয়টি কীভাবে সাজিয়েছেন, তা বর্ণনা করেছেন প্লাতিনি এক রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ‘সূচি ঠিক করার সময় আমরা সামান্য চাতুরিই করেছিলাম আমরা। ফ্রান্স-ব্রাজিল ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিল সবাই। আমরা (ফ্রান্স) আমাদের (সি) গ্রুপে প্রথম হলে ও ব্রাজিল তাদের (এ) গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলে ফাইনালের আগে আর তাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হতো না।’
এভাবেই হিসাব কষে ড্র ও সূচি ঠিক করেছেন প্লাতিনি ও ফ্রান্সের আয়োজকরা। আর বিষয়টিতে কোনও অপরাধও দেখছেন না তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। হেসেই বললেন, ‘ছয় বছর বিশ্বকাপ আয়োজনের কাজ করব, আর কিছুটা সুবিধা নেব না, তা হয় নাকি! আপনি কি মনে করেন অন্য আয়োজক দেশ এটা করে না?’ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া নিয়ে দুর্নীতিতে কাদা লেগেছে ফিফার গায়ে। এবার বিশ্বকাপের মধ্যেও দুর্নীতির দুর্গন্ধ ছড়ালো প্লাতিনির মন্তব্যে। বিবিসি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn