- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

আন্দোলনের মাধ্যমে সালমা’র বিয়ের দাবী আদায়

বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন কলেজছাত্রী সালমা আক্তার। অনড় মনোভাব নিয়ে অনশন করে চলেছিলেন। নানা চাপ সত্ত্বেও তিনি দাবি থেকে সরে আসেননি। নানা নাটকীয়তার মধ্যে অবশেষে বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়েটি হয়েছে। তবে প্রেমিক তথা বর মিজানুর রহমান সাদ্দাম বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাদ্দাম সৌদি আরব চলে গেছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ে এড়ানোর জন্য আশপাশেই কোথাও লুকিয়ে আছেন তিনি। তবে তার অনুপস্থিতিতে বিয়ে আটকে থাকেনি। ইন্টারনেটভিত্তিক মোবাইল ফোন ইমুর ভিডিও কলের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকার দেন মোহরানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জিন্নতপুর গ্রামে। মিজান ওই গ্রামের প্রবাসী খোরশেদ আলমের ছেলে এবং প্রেমিকার বাড়ি একই উপজেলার খাইয়ার গ্রামে। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। দীর্ঘ চার বছরের প্রেম করার পর প্রবাসী প্রেমিক মিজানের বিয়ের খবর শুনে গত রোববার সকাল থেকে হাতে বিষের বোতল ও আত্মহত্যার চিরকুট লিখে প্রেমিকা কলেজছাত্রী ছালমা আক্তার প্রেমিক মিজানের বাড়িতে অনশন শুরু করেছিলেন। এর আগে অনশনকারী সালমা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মিজানের সঙ্গে তার চার বছর আগের প্রেম। তখন সে বিদেশ থাকতো। দুই বছর আগে মিজান বিদেশ থেকে দেশে আসার পর বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

সম্প্রতি মিজান দেশে এসে বিয়ে করার প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত রোববার সকাল থেকে তিনি বিয়ের দাবিতে হাতে বিষ ও আত্মহত্যার চিঠি নিয়ে প্রেমিক মিজানের বাড়ির উঠানে অনশন শুরু করেন। এদিকে প্রেমিকার উপস্থিতির টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান রসিক প্রেমিক মিজান। বিষয়টি বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধমে প্রকাশসহ সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন বিয়ের বিষয়ে মিজানের পরিবারকে চাপ দেয়। এ নিয়ে মিজানের মা সেতেরা বেগম জানান, আমার ছেলে ঘটনার দিনই বাড়ি থেকে সৌদিতে চলে গেছে, তাই এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আড়াই লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে, আমরা সালমাকে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নিয়েছি। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, সামাজিকভাবে এ বিষয়টি যদি উভয় পরিবার সমাধান না করতো তাহলে আইনগতভাবেই আমাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হতো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]