রোগীর স্বজনকে মারধর করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চার ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসককে শাস্তি দিয়েছে। তার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গতকাল শনিবার সকাল থেকে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। নিয়মিত চিকিৎসকরা ভর্তি রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এসে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে স্বজনরা। কর্মবিরতি চলার সময় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আদালত পরিবহন শ্রমিককে সাজা দেওয়ায় গত সপ্তাহে দেশজুড়ে হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দুঃসহ ভোগান্তিতে পড়েছিল সাধারণ মানুষ। এবার সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় ফের ভোগান্তিতে পড়ল মানুষ। রোগীদের জিম্মি করে এভাবে পেশাজীবীদের কর্মবিরতি বা ধর্মঘট পালনের সমালোচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বগুড়ার ঘটনার আগে-পরে একাধিকবার চিকিৎসকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রোগীদের জিম্মি করে কেউ কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। তবে মন্ত্রীর সে নির্দেশনা আমলে নেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আবার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জুগিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই চারজনের শাস্তি বাতিল ছাড়াও সাত দফা দাবি দিয়েছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তাঁর অবস্থানে অনড় রয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে বগুড়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি দুঃখজনক। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের এ ধরনের ঘটনা আমাদের কারো কাম্য নয়। যাঁরা ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রোগীদের জিম্মি করে কেউ কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না। ’ গত বুধবার ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানেও মন্ত্রী বলেছেন, কোনো অজুহাতেই রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীরা ধর্মঘট বা কর্মরিতি করতে পারবেন না।

এ অবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, বিএমএর অবস্থান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর মনোভাবের ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আবার বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুর রউফকে মারধরসহ নির্যাতনের দায়ে চার ইন্টার্ন চিকিৎসককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই চারজনের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। তাঁদের পৃথক চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। সাজার মেয়াদ শেষে তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন মেডিক্যালে ইন্টার্নশিপ করতে হবে। ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ করলে পেশাগত সনদ বাতিল করা হবে। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে এ আদেশ জারি করা হয়।

শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রথমে শজিমেক হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়। এরপর গতকাল থেকে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসরা। চারজনের শাস্তি বাতিল ছাড়াও সাত দফা দাবি দিয়েছেন তাঁরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন।

দাবির মধ্যে রয়েছে সব চিকিৎসকের নিরাপত্তা বিধান, রোগীর লোক যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করতে হবে, হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ দিতে হবে, মেডিক্যালে কোনো ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষকে নিজ উদ্যোগে মামলা করতে হবে, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে দায়ভার নিয়ে কর্তৃপক্ষকে পদত্যাগ করতে হবে।

বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যে প্রক্রিয়ায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেই প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি। স্থানীয়ভাবে কোনো তদন্ত না করে একবারেই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শাস্তি দিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা নিম্ন আদালত থেকে বাদ দিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচার করে ফেলার মতো হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা সুবিচার পায়নি। ’

বিএমএ মহাসচিব ওই ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করে আরো বলেন, তদন্ত বা শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় বিএমএকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত বিএমএর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। তিনি দাবি করেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিষয়ে যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসকদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো তদন্ত বা কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই পুরো বিষয়টিকেই তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য খাতের বিরুদ্ধে মহলবিশেষের চক্রান্ত বলে মনে করছেন।

তদন্ত ও শাস্তি : তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বিনতে ইসলাম নাজকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ডা. মো. আশিকুজ্জামান আসিফকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ডা. মো. কুতুব উদ্দীনকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ডা. এম এ আল মামুনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়।

আগের দিন বুধবার এসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করে। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান। সদস্যসচিব ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশিদ, সদস্য ছিলেন বিএমডিসির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ।

প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও রোগীর ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন করে গর্হিত কাজ করেছেন। রোগীর সেবার মতো মহৎ পেশায় প্রবেশের আগে পেশাগত প্রশিক্ষণকালে অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চিকিৎসানীতি ভঙ্গ করেছেন। প্রত্যাশিত আচরণ অনুশীলনের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে কমিটি মনে করে।

হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি চরমে : গতকাল সকাল থেকে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের শাস্তি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা। ফলে সেবা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে রোগীরা। বিস্তারিত আমাদের আঞ্চলিক অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :

শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল ১১টায় হাসপাতালের মূল ফটকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। শুক্রবার বিকেলে জরুরি সভা আহ্বান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজে যোগ দিতে অনুরোধ করলেও তাঁরা অনুরোধ রাখেননি। শজিমেক হাসপাতালে আন্দোলন কমিটির মুখপাত্র ইন্টার্ন চিকিৎসক কুতুব উদ্দিন (দণ্ডপ্রাপ্ত) বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ ও বদলির নির্দেশ বাতিলসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে। ’

শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান বলেন, ‘আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কাজে যোগ দেয়নি। চিকিৎসাসেবার কোনো ঘাটতি হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য আট সদস্যের পৃথক দুটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যদি কোথাও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয় তাহলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গতকাল সকাল ৮টা থেকে কর্মবিরতি দিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পরে তাঁরা মানববন্ধন করেন। ফলে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে স্বজনরা রোগী নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছে। পূর্বঘোষণা ছাড়াই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ ব্যাপারে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ফারহান জানান, ‘বগুড়ার চার ইন্টার্ন ডাক্তারের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে, রংপুরেও সেটাই পালন করা হচ্ছে। ’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার জানান, ইন্টার্নরা কেন ধর্মঘট করছে তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বেসরকারি আরো তিনটি হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গতকাল সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। দুপুরে তাঁরা সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মবিরতির ফলে এসব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষকে পড়তে হয় চরম বিপাকে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল বেশি। এ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. দেবপদ রায় জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহারে আলোচনা অব্যাহত আছে। হাসপাতালে যাতে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত না ঘটে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও নতুন চিকিৎসা নিতে আসা কোনো রোগীকেই তাঁরা সেবা দেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে সভা করলেও শাস্তি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না জানিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। রোগীর স্বজনরা জানায়, হাসপাতালে ভর্তি হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ পাচ্ছে না তারা। তার ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি ৫৩৬ জন রোগীর মধ্যে ছয়জন মারা গেছে। শুক্রবার ৪৯৯ জন রোগীর মধ্যে মারা যায় সাতজন।

এ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. তৌহিদ আলম জানান, সকাল থেকে আকস্মিক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় ভর্তি রোগীদের চিকিৎসায় সার্বিক তদারকি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিয়মিত চিকিৎসকদের। চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন ঘটছে। সিরাজগঞ্জ নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গতকাল কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্ন ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আশরাফুল ইসলাম শুভ্রর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn