- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

ইয়েমেনে ব্যাপক সংঘর্ষ নিহত ২৩৪

  ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে হত্যার পর দেশটিতে সহিংসতা ও সংঘর্ষ আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। সানায় হুথি বিদ্রোহী ও সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর সমর্থকদের সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রস (আইসিআরসি)। সালেহর অনুসারীদের সঙ্গে হুথিবিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র এই মুসলিম দেশটির হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে। সংস্থাটির (রেড ক্রস) মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, এ সময়ে আহত হয়েছে আরো প্রায় চারশ মানুষ, যাদের মধ্যে ৩৮৪ জনের আঘাতই গুরুতর। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে আইএএনএস এসব তথ্য দিয়েছে। রেড ক্রসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রবার্ট মারডিনি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক টুইটে বলেছেন, ‘সংস্থার কর্মীরা হাসপাতালে ওষুধ, শল্যচিকিৎসার সরঞ্জাম ও জ্বালানি সরবরাহসহ যা যা করা দরকার, সবই করছে।’ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানী সানাতে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় সাবেক সুন্নি প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ নিহত হন। শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের পেছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলেও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। সানার কেন্দ্রে অবস্থিত আলি আবদুল্লাহ সালেহের বাসভবন উড়িয়ে দেয় হুতি বিদ্রোহীরা। মৃত্যুর একদিন আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সালেহ হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধরত সৌদি জোটের প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান। তিনি দেশটিকে হুতি বিদ্রোহীদের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বানও জানান। তাঁর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সৌদি আরব এবং রাজধানী থেকে বিতাড়িত দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি। তিনি এখন বন্দরনগরী অডেনে বসবাস করছেন। এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহর মৃত্যুর পর দেশটির রাজধানী সানায় হুতিদের অবস্থান আরো সংহত হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সানায় এখন আরো বেশি চেকপোস্ট বসিয়েছে হুতিরা, পাশাপাশি তারা সালেহপন্থীদের গ্রেফতার করছে। সানার মানবাধিকার কর্মকর্তা জামি গোল্ডরিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, সহিংসতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে অনেক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]