নিউইয়র্কে বসবাসরত আইনজীবী ড. তুহিন মালিক তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে উদ্ভট, অবিশ্বাস্য সব কথাবার্তা পোস্টিং দেয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি এনআরবি নিউজের এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আবারো অত্যন্ত বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি, এহেন অপকর্মে লিপ্তদের খূুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য। অন্যথায় এক সময় সকলকেই আমার মত বিব্রতকর পরিস্থিতির ভিকটিম হতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘ব্লগ, ফেসবুক কোথাও কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কটাক্ষ না করার জন্যে আমি বহুবার বহুভাবে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আমাকেই বারবার এমন আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। আমার নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বশেষ দোল উৎসব নিয়ে সাম্প্রদায়িক উষ্কানীমূলক মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমার গোচরে আসার সাথে সাথে নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার সত্যিকারের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছি। সকলকে জানিয়েছি যে, ওটি আমার ফেসবুক পেইজ নয়। আমাকে অযথা আরো বিব্রত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এহেন পোস্টিং দেয়া হয়েছে’।

১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে তুহিন মালিক এ সংবাদদাতাকে টেলিফোনে বলেন, ‘এক মরাকে আর কতবার মারবে? এর আগে একইভাবে ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে আমার নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক পেজে জঘন্য মিথ্যাচারমূলক পোষ্টিং দেওয়া হয়। সে সময়েও আমি সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ রেখেছিলাম যে, খতিয়ে দেখা হউক, কারা এমন অপকর্মে লিপ্ত। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে না দেখে আমার বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন। ’
নিউইয়র্কে বসবাসরত তুহিন মালিক আরো বলেন, ‘এহেন সাইবার ক্রাইম রোধে সংশ্লিষ্টরা যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেন, তাহলে এক সময় তাদেরকেও আমার মত ভিকটিম হতে হবে। ’ তুহিন মালিক উল্লেখ করেন, ‘২০১৪ সালে সর্বপ্রথম আমার নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক আইডিতে বিশ্ব ইজতেমাকে পিকনিক বলেছি বলে পোষ্টিং দেওয়া হয়। আমি তার প্রতিবাদ জানাই এবং এক পর্যায়ে ধর্মপ্রাণ মানুষদের স্বস্তি প্রদানের অভিপ্রায়ে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। ফাঁসির দাবি করা হয়। এরপর ধর্ম অবমাননার মামলাও দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আন্তরিক অর্থে তদন্ত চালালে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে পারে, কিন্তু এক অজানা কারণে সেটি ঘটছে না বলে মনে হয়। ’
তুহিন মালিক সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ফেসবুক আইডি একটিই (https://facebook.com/tuhin.malik) যার ফলোয়ার প্রায় দুই লক্ষ। আমার ফ্যানপেইজও একটিই (https://facebook.com/tuhin.malik.dr/) যার লাইক তিন লক্ষাধিক। এর বাইরে বাকি সবগুলোই মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি একটি ভুয়া আইডির লিংকও দেন (https://www.facebook.com/TuhinMalikOfficial/), যেটি থেকে তার নাম করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। তবে শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে প্রতিবেদনটি করার সময় এই লিংকটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn