- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

এবার শাকিবকে স্বামী ও সন্তানের বাবা দাবি এক নারীর

এবার শাকিব খানকে স্বামী ও সন্তানের বাবা দাবি করলেন রাত্রি নামে এক নারী। বর্তমানে সবার কাছে তিনি শাকিব খান হলেও তার পূর্বের নাম কী ছিল তা কেউ জানি না। নায়ক হয়ে ওঠার আগে তার নাম ছিল মাসুদ রানা। ওই নারীর কাছে তিনি কেবলই ছিলেন মাসুদ রানা। সাধারণ মাসুদ রানা যখন শাকিব খান হয়ে উঠেনি তখনই রাত্রি নামের সেই তরুণীর প্রথম ভালোবাসা ছিলেন তিনি। তারকা খ্যাতির শীর্ষ ওঠার যাত্রায় একের পর এক পিছুটান শাকিব কেটেছেন চোখবুজে। অদৃশ্য রক্তপাতহীন এই কর্তনের বলি হয়েছেন রাত্রি। সম্পর্কে শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী বা বলা যায় তার প্রথম সন্তানের মা। সম্প্রতি একটি অনলাইনের অনুসন্ধানে উঠে আসে এফডিসির এই ওপেন সিক্রেট বিষয়টি। প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে অনেক সাংবাদিকের কাছেও এটা জানা ঘটনা। নিকট অতীত না হওয়ার কারনেই হয়তো কেউ আর এটার চর্চা করেন না। কারো সঙ্গে আলাপ করতে গেলেই কেউ রহস্যজনক হাসি হাসেন অথবা হেসেই উড়িয়ে দেন।

তবে এবার সামনে এলেন রাত্রি। এক পুত্র সন্তানের জননী জানান তার সন্তান রাহুল খানের বাবা শাকিব খানই। তবে স্বাভাবিক প্রশ্ন আসে তিনি কেন তার অধিকার আদায়ের জন্য সামনে আসনেনি। শান্ত কন্ঠে তিনি জানিয়েছেন, যে ভালোবাসার কারনে এতোগুলো বছর চুপ থেকেছি, এখন আর মুখ খুলে কী লাভ? শাকিব যদি কোনোদিন বুঝতে পারে, ফিরে আসে তাহলে আমার আর কিছু চাই না। এর বাইরে মুখ খুলিনি কারন আমি চাইনি আমার হিরোর (শাকিব খানের) কোনো ক্ষতি হোক। এদিকে নিজেকে শাকিবের প্রথম সন্তানের মা হিসেবে দাবি করে রাত্রি বলেন, আমি আর আমার আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। আমি জোর গলায় বলতে চাই শাকিব খানের প্রথম সন্তানের মা আমি। আমার রাহুলের বাবা শাকিবই। এটা শাকিবও অস্বীকার করতে পারবে না। যদিও রাত্রির কথায় জানা যায় তারা বিয়ে করেননি। অধিক মেলামেশা থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের গভীর কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা বশত রাত্রি কনসিভ করেন। পরে শাকিব তাকে গর্ভপাতের জন্য বারংবার অনুরোধ করলেও মায়ের মমতার কাছে সেই অনুরোধ টিকেনি। শাকিব শোবিজ ক্যারিয়ারে ধূমকেতুর গতিতে এগিয়ে গেলেও পেছনে পড়ে যান রাত্রি। রাত্রি পিতৃ পরিচয়হীন পুত্র সন্তানকে নিয়ে শুরু করেন জীবন সংগ্রামের নতুন লড়াই। সমাজের নিষ্ঠুরতার কষাঘাতে পাথর হওয়া রাত্রি ফেকাশে মুখে বলেন, ‌ আমার কারো কাছে কোনো অভিযোগ নেই। একটা পার্লারে কাজ করি। ছেলেটা একটা মোটর ওয়ার্কশপে কাজ শেখে। কারো টাকা পয়সার প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। কখনো ছিলোই না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]