একটা সময় ছিল যখন ঈদ কার্ড ছাড়া পূর্ণতা আসত না ঈদের আনন্দে। ঈদ আনন্দের একটা বড় অংশ জুরে ছিল প্রিয়জনকে ঈদ কার্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে কার্ডের দোকান ছাড়াও লাইব্রেরি, গিফট শপগুলোর একটা বড় অংশ জুরে রাখা হত ঈদ কার্ড।  নকশা ও আকার ভেদে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকায় ও ঈদ কার্ড বিক্রি হত।  সেই ঈদ কার্ড প্রথা আজ বিলুপ্তির পথে। এখন আর কেউ ঈদে প্রিয়জনকে ঈদকার্ড পাঠায় না। ঈদ কার্ডের জায়গা দখল করে নিয়েছে মোবাইলের এসএমএস আর ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার। তবে এখনো কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্টানে ঈদ কার্ডের প্রচলন অব্যাহত রয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরিচিতজনদের পাঠিয়ে থাকেন ঈদ কার্ড। আর এবার নির্বাচনী মৌসুমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঈদ কার্ড বিলি করতে দেখা গেছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে আবেদন হারিয়েছে ঈদ কার্ড। নগরের জিন্দাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গোটিকয়েক লাইব্রেরি ও গিফট শপের দোকানে সামান্য সংখ্যাক ঈদ কার্ড রাখা রয়েছে।

রাজা ম্যানশনের এস.কন্টিনেন্টাল পেপার এন্ড স্টেশনারিতে ঈদকার্ড বিক্রি হচ্ছে ২০টাকা থেকে ৫০ টাকা, পূর্ব জিন্দাবাজারের আইডিয়াল প্রোডাক্টে প্রতি কার্ড বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটির স্মাইলি কর্নার ও গিফট অর্নামেন্টেসে রয়েছে ১০০ থকে ১২০ টাকা দামের কার্ড। রাজা ম্যানশনের এস.কন্টিনেন্টাল পেপার এন্ড স্টেশনারির প্রোপাইটার মো আবুল হোসেন বলেন, এখন সবাই ডিজিটিাল হয়ে গেছেন। আগের মত ঈদ কার্ডের চাহিদা নেই। সারা দিনে ৩ থেকে ৪টি কার্ড বিক্রি হয়। তাই বেশি দামে না গিয়ে একটা নির্দিষ্ট দামের কার্ড রাখি। আইডিয়াল প্রোডাক্টের প্রোপাইটার মো. আব্দুস সালাম বলেন , বিগত দশ বছর যাবত দিবস কেন্দ্রিক কার্ডের চাহিদা নেই তাই এখন শুধু বিয়ের কার্ডেই বেশি প্রাধান্য দেই। ঈদ আসলে কিছু ছাত্র ছাত্রী, প্রবাসীরা আসেন ঈদ কার্ড নিতে তাই কিছু ঈদ কার্ডও রাখি। একুশ শতকে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়েও এসেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। মোবাইল ফোনে এসএমএস, ফেইসবুক, টুইটারে ই-কার্ড, অডিও- ভিডিও শুভেচ্ছা আদান প্রদান হলেও এখনো কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে ঈদ কার্ডের আবেদন রয়েছে। এসব ডিজিটাল শুভেচ্ছা বার্তায় ঈদ কার্ডের মতো আন্তররিকতা ও ভালবাসার ছোঁয়া পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn