শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান ও ভবিষ্যত শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনায় সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রেক্ষিতে আগামীতে কর্মক্ষেত্রে যে পরিবর্তন সূচিত হবে সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা না থাকলে কর্মনিশ্চয়তা ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হবে।  রবিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রণীত‘ বিল্ড স্কিল বাংলাদেশ ফর ইমার্জিং ডেভেলপ ন্যাশন’। শীর্ষক গবেষণা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন মন্ত্রী। আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা। সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন যশোর টিএসসি’র অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আব্দুল আজিজ ও বিটিইবি’র পরিচালক এস এম শাহজাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। গবেষণা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি অর্জন ধরে রেখে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সালে ১২৮ মিলিয়ন শ্রমশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলাই বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আইডিইবি’র দক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণ কর্মসূচি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে বর্তমান ও আগামীর শ্রমবাজারের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে গবেষণাপত্রটি প্রণয়নের জন্য আইডিইবিকে ধন্যবাদ জানান। বাসস
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn