- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

খানা-খন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তি

সোহানুর রহমান সোহান- পৌর শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আলফাত উদ্দিন স্কয়ার (ট্রাফিক পয়েন্ট)। লাগাতার কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের ইটের খোয়া উঠে গেছে। খানা-খন্দে ভরে গেছে সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়ক। এর আগেও দীর্ঘদিন এই সড়কে ছোট-বড় গর্ত থাকায় ইটের খোয়া বিছিয়ে চলাচল উপযোগী করা হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে আবার আগের অবস্থায় ফিরেছে সড়ক। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে সড়কে, বাড়ছে দুর্ভোগ।

শুধু সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়কই নয়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর, নবীনগর পয়েন্ট, সুরমা মার্কেটের সামনে থেকে পশ্চিম বাজারের সড়কও খানা-খন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তে জমে থাকে পানি। জমে থাকা পানির কারণে স্থায়িত্ব কমছে সড়কের ভালো অংশের। যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের উপর। সড়কের মাঝামাঝি অংশ খারাপ থাকায় যানবাহন চলাচল করছে সড়কের পাশ দিয়ে। এতে স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত হচ্ছে পথচারীদের।

চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহরের অনেক জায়গায় এমন অবস্থা। সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য চালকদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কষ্ট হয়। যাতায়াতে সময় বেশি যায়। এতে কমছে আয়। এছাড়াও যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে তাড়াতাড়ি। ট্রাফিক পয়েন্ট-নবীনগর সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ষোলঘরের বাসিন্দা এনামুল হক বললেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই সড়কের খারাপ অবস্থা। এখানে গাড়ি আসলেই আর গাড়িতে বসে থাকা যায় না। উল্টে যাওয়ার অবস্থায় থাকে। মাঝে মাঝে ভাঙা সড়কের আগেই নেমে যাই। এইটুকু অংশ হেঁটে পার হই।

পথচারী নাঈম বললেন, এখানে হাঁটাও যায় না। সড়কের পাশে হাঁটার জায়গা দিয়ে গাড়ি চলে। বৃষ্টি হলে জমে থাকা নোংরা পানিতে জামা কাপড় নষ্ট হয়। ফুটপাতের কাপড়ের দোকানদার আল আমিন বললেন, এই জায়গায় সব সময় জ্যাম থাকে সড়কের কারণে। এখানে এসে যানবাহনের গতি কমে যায়। কয়েকটি দুর্ঘটনাও দেখেছি আমি। এইটা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখানে জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার কাজ করানো উচিত। সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বললেন, বৃষ্টির মৌসুম শেষে শুষ্ক মৌসুমে এই সড়কের কাজ করা হবে।-সৌজন্যে সুনামগঞ্জের খবর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]