- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

‘গোপন চুক্তি’ করতে সৌদিতে নওয়াজ!

নিজ দেশের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপন চুক্তি করতে শনিবার পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন দেশটির পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। খবর এনডিটিভির। এনডিটিভি জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে রিয়াদের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে সৌদি রাজা সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল নওয়াজের পিএমএল-এন এই সাক্ষাতকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। গত জুলাইয়ের ২৮ তারিখে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে পনামা পেপার্স দুর্নীতির মামলায় তাকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই একই ইস্যুতে তিনটি মামলা ঝুলছে নওয়াজ পরিবারের সদস্যদের মাথার ওপর। মূলতঃ পানামা পেপার্স ইস্যুতে নওয়াজের নাম সামনে আসার পরই সুতোয় ঝুলছে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল পিএমএল-এন নেতার ভাগ্য। দোষী সাব্যস্ত হলে জেলে যেতে হতে পারে নওয়াজকে। অবশ্য শরিফ পরিবারের দাবি, ওই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

উল্লেখ্য, নওয়াজের ভাই এবং পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এই মূহুর্তে এক ‘সরকারি সফরে’ অবস্থান করছেন সৌদি আরবে। বুধবার সৌদি সরকারের পাঠানো এক বিশেষ বিমানে সেখানে যান শাহবাজ। ধারণা করা হচ্ছে, বড় ভাইয়ের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করতেই আগেভাগে সৌদি গেছেন তিনি। বিরোধীদলগুলো বলছে, শরিফ পরিবার বর্তমানে বেশ কয়েকটি মামলার সম্মুখীন এবং রাজনৈতিকভাবেও তারা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই পাকিস্তানে সুবিধাজনক অবস্থায় ফিরে যেতে তাদের এখন সৌদি রাজপরিবারের সহায়তা প্রয়োজন। নওয়াজ এবং তার ভাইয়ের সৌদি সফর সম্পর্কে পাকিস্তানি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সৈয়দ খুরশিদ শাহ বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা ক্ষমা পাওয়ার পথ খুঁজছে এবং জাতীয় পর্যায়ে একটি চুক্তি আসন্ন। যদি সত্যিই তেমন কিছু হয়, তবে আমাদের আদালতগুলো বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতে হবে।’ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোকে দুঃখজনক হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান জানান, শরিফ পরিবারকে কোনো রকম ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে আন্দোলনে যাবে তার দল। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০০ সালে নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ দেশটির ক্ষমতা দখল করলে শরিফ পরিবারকে নিরাপদে তাদের দেশে পৌঁছানোর দালালি করেছিল সৌদি আরব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]