ধর্মপাশা পুলিশ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে অপহৃত ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই ওই কিশোরীকে ধর্মপাশা থানা পুলিশের হেফাজত থেকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন। রোববার (২২ জুলাই) মধ্যরাতে ধর্মপাশা থানা পুলিশ দুধবহর গ্রাম থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার দুধবহর গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মোজাহিদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল এলাকায় চাকুরী করার সুবাদে সেখানকার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্মপাশার নিজের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। এদিকে কিশোরীর বাবার পরিবারের লোকজন রোববার বিকেলে মোজাহিদের বাড়িতে এসে কিশোরীর সন্ধান পেয়ে একটি এনজিও সংস্থার সহায়তায় ধর্মপাশা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশকে জানানোর বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ মোজাহিদের বাড়িতে পৌছার পূর্বেই সে পালিয়ে যায় ও পরিবারের লোকজন কিশোরীকে বাড়ি থেকে সরিয়ে গ্রামের অন্য একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশ কিশোরীকে রোববার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ধর্মপাশার দুধবহর গ্রামের মঞ্জুরুল হক জানান, আমার ছেলে মোজাহিদ ওই কিশোরীকে অপহরণ করেনি, বরং ওই কিশোরী আমার ছেলের সাথে মন দেয়া-নেয়ার পর বিয়ের কাজ শেষ করে মির্জাপুর থেকে পালিয়ে এসেছিলো স্বেচ্ছায়। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বয়সী কিশোরীর সাথে বিয়ে হল কেমন করে বিয়ে হলে কাবিনের কাগজপত্র দেখানোর কথা বললেও তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এমনকি কাবিনের কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক মঙ্গলবার জানান, ওই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। কিশোরীকে ধর্মপাশা থানায় পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে মির্জাপুর থানায় আনা হয়েছে। ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান মঙ্গলবার জানান, যেহেতু কিশোরী অপহরণের মামলা মির্জাপুর থানায় পূর্বেই করা হয়েছে সেক্ষেত্রে ওই থানাই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn