‘লেগুনা চালক মো. হাবির মিয়া বলেন, ‘এ সড়কটি আমাদের জন্য একটি দোজখ। শত শত খানাখন্দের মধ্যে গাড়ি চালানো যে কতো বড়ো বিপদ, যারা চালায় তারাই শুধু জানেন। সড়কে চৈতকাতি বারো মাস পানি জমে থাকে। কোন গর্ত কতো বড়ো তা আন্দাজ করা কঠিন। তাই গাড়ি গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়।’ ১০ বছর ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নয়াবন্দর থেকে কাঠালখাইড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে সৈয়দপুর ও আশারকান্দি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমদ বলেন, ‘এটি সৈয়দপুর গোয়ালাবাজার সড়কের অংশ। ঠিকাদার কাজের চেয়ে বেশি বিলের টাকা দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন। তাই সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে আদালতের রায় হবে। রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করবো।’এলাকাবাসী জানান, তারা জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর নয়াবন্দর হতে কাঠালখাইড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে উপজেলা সদর জগন্নাথপুর, বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী শহর ঢাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু, সড়কটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক খানাখন্দ রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না। নয়াবন্দর, দাওরাই, শাহাড়পাড়া, সৈয়দপুর লাইটেস, ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিকশা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক আহমদ বলেন, ‘সড়ক সংস্কারের দাবিতে শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় ধর্মঘট, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু, এখনও দৃশ্যমান কোনও উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে না।’
লন্ডন প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রবাসীরা দেশের টানে বিদেশ থেকে বাড়ি আসি। কিন্তু, সড়কের বেহাল দশার কারণে পরিবার পরিজনকে সিলেটে রেখে গ্রামের বাড়িতে আসতে হয়।’ সিএনজি ফোরস্ট্রোক চালক আমান মিয়া বলেন, ‘এ বিপদ ১০ বছর ধরে চলছে। কোনও সমাধান নেই।’