- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

ঢাবি ভিসিকে লাঞ্চিত করার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের হয়ে বামপন্থি একজন উগ্রকর্মী অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে তার কার্যালয় থেকে বেরুবার সময় ঘুষি মারলেই ছাত্রলীগ এসে প্রতিরোধই করেনি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হাতে বেধড়ক মার খায় বিক্ষোভকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি কলেজ অধিভূক্ত করেছিলেন সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক। তিনি নিজেও ঢাকা কলেজ থেকে এসে ঢাবিতে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সংকট বহন করছেন বর্তমান উপাচার্য আখতারুজ্জামান। ৭টি কলেজ অধিভূক্ত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো অধিভূক্ত কলেজ ছাত্ররা নিজেদেরকে ঢাবির ছাত্রই দাবি করছে না ভূয়া আইডি কার্ড তৈরি করে টিউশনীতেও যাচ্ছে। একইসঙ্গে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে কলাভবন নানামূখি চাপের মুখে পড়ছে। ঢাবি ছাত্রদের বক্তব্য হচ্ছে, যেখানে আমাদের প্রশাসন আমাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে না সেখানে বাইরের এই চাপ কেন? ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে আন্দোলন ফুসে উঠে। উত্তাল পরিস্থিতির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন সংকটের মুখে পড়েন।

সংসদেও এই অধিভূক্তির সমালোচনা করেন পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানি দায়িত্ব পালনে উদাসীনতাই দেখান নি, ব্যর্থতারও পরিচয় দিয়ে আসছেন। ছাত্রসমাজের মধ্যে তার কোন প্রভাব সমর্থনও নেই।উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাম নেতৃত্ব নির্ভর আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ যখন ভাংচুর ও উপাচার্যের উপর হামলার পর্যায়ে যায় তখন প্রশাসনের পাশে ছাত্রলীগের সহযোগীতা চাওয়া হয়। ছাত্রলীগ এগিয়ে আসলে বিক্ষোভকারীরা প্রতিরোধ ও সংঘর্ষে জড়ায়। এই সংঘর্ষ এতো ঘটনার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার পথে সমঝোতার চেষ্টা করেনি।আশ্বাষ দিয়েছে কিন্তু ডেকে বৈঠক করেনি। এর আগে ছাত্রলীগের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে বহিস্কারের দাবি করেছিলো। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি হলেও সমাধান হয়নি। সব মিলিয়েই মঙ্গলবারের ঘটনা ঘটেছে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]