তাহিরপুরে জীবিত এক ভন্ডপীরের বাড়িতে ওরস পালন করার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্যদেরকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত কলেজ ছাত্রের নাম-সাজিদ মিয়া(১৯)। সে উপজেলার মধ্যতাহিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ও জয়নাল আবেদীন মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। এঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহ জনক ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মঞ্জু মিয়া(১৬),বাবুল মিয়া(১৭),হেলাল মিয়া(৩৮),লিটন মিয়া(১৫)। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে  শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে। পুলিশ আজ শনিবার দুপুর ১২টায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের জাহের আলী পাগলা নামের এক ব্যক্তি প্রায় ৫বছর যাবত নিজেকে পরী দাবী করে নিজ বসতবাড়িতে ওরস পালন করছে। প্রতি বছরের মতো গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ঐ ভন্ড পরীরে বসতবাড়িতে ওরস পালনের নামে গান-বাজনা শুরু হলে এলাকার লোকজন দেখতে যায়। রাত সাড়ে ১১টা সময় ওরসে আগত ভন্ডপরীরে ভক্তদের মধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র সাজিদ মিয়া,জামাল মিয়া,মনির মিয়া,বাসিত মিয়া,মুছাব্বির মিয়াসহ উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। আহতদেরকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কলেজ ছাত্র সাজিদ মিয়াকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর আশংকাজনক অবস্থায় জামাল মিয়াকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল,পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর অন্যান্য আহতদেরকে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টায় ভন্ডপরীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক ৪জনকে গ্রেফতার করে। এঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn