তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট রহমানীয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ড মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়- সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রকল্প (সেকায়েপ)-এর জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৬ সেমিস্টারের উপবৃত্তির টাকা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাওয়ার নিয়ম করা হয়েছে, এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মোবাইল অ্যাকাউন্ট করা আবশ্যক।
বাদাঘাট রহমানীয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ড মহি উদ্দিন মাদ্রাসার ১৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার খরচ বাবদ ১শ’ টাকা করে মোট সাড়ে ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারীসহ একাধিক ছাত্র-ছাত্রী। কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে উৎকোচের টাকা না-দিলে তাদের উপবৃত্তির তালিকা থেকে বাদ দেয়াসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন সুপারিন্টেন্ড মহি উদ্দিন। উৎকোচ নেয়ার পরেও সুপারের ভুলের কারণে মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪ জন, ৭ম শ্রেণির ৪ জন, ৮ম শ্রেণির ১১ জন, ৯ম শ্রেণির ৪ জন ১০ম শ্রেণির ১ জনসহ মোট ২৪ জন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পায়নি বলে জানা গেছে।
১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী কেবিনেট সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, নাঈম আহমদ, মহিবুর রহমান,  যোবায়ের আহমদ, ৯ম শ্রেণির, সোহাগ মিয়া, হুমায়ুন কবির, মামুন আহমেদ, শাহিন আলম, ৭ম শ্রেণির সিরাজুল ইসলাম জানায়- সুপারকে টাকা দিয়েও সুপারের ভুলের কারণে আমরা উপবৃত্তির টাকা পাইনি। এ বিষয়ে আমরা সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে বলেন, এসব ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাদাঘাট রহমানীয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ড মো. মহি উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কতজন ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পায়নি তা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন- আমি কাগজপত্র জমা করেছিলাম কী কারণে কিছুসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পায়নি আমি বলতে পারবনা। পরবর্তীতে আমি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুনামগঞ্জ শাখায় যোগাযোগ করেছি উনারা আমাকে বলেছেন, যেসকল শিক্ষার্থী টাকা পায়নি তাদের কাগজপত্র আবারো নতুন করে জমা করার জন্য। নতুন করে কাগজপত্র জমা করলে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার খরচ বাবদ  টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে আছি পরে কথা বলব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn