মধুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব খান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা- মোকদ্দমা চলছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরেই দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।’ নূর জালালের পক্ষের আব্দুল খালেক বললেন, দুইপক্ষে বিরোধ থাকলেও মঙ্গলবার বাজারে যাবার পর কোন কারণ ছাড়াই আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমার ভাই নূর মোহাম্মদ মারা গেছে। আমি গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুক আহমদ (৫০), রেজু মিয়া (১৯) ও শফিক নূরকে (৩৫) নিয়ে সিলেটে যাচ্ছি। দিল হকের পক্ষের এক তরুণের দাবি (নাম প্রকাশ করতে চান নি) দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থাকলেও সোমবার গ্রামের পাশের শাহ্জালাল বাজারে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত লিটন চৌধুরী ব্যক্তিগত অফিসের তালা ভেঙে ফেলে। নূর জালালের পক্ষের সুজন, শহীদসহ কিছু তরুণ এই কাজ করে। এই নিয়ে আমাদের লোকজন উত্তেজিত হলে গ্রামের বয়োজ্যেষ্টরা সমঝোতা করে দেন। আজ সকালে আবার গ্রামে সুজন, শহীদসহ তাদের লোকজন দিল হক, রুম ও জব্বারকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এই নিয়ে সংঘর্ষ বাধে এবং দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়। দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে জমি, জলমহালসহ নানা বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরেই মঙ্গলবার সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন নবী মঙ্গলবার বিকালে জানান, এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।