জয়া সেন দিরাই-শাল্লার সাধারণ মানুষের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। উচ্চ শিক্ষিত হলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে অতি সহজেই মিশে যেতেন। সুরঞ্জিত সেনের নির্বাচনের সময় জয়া সেন নিজে মহিলা সংগঠন তৈরি করে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেনের সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম বর্তমানে জয়া সেনকে অনেকে এগিয়ে রেখেছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য। একই সঙ্গে জয়া সেনের মনোনয়ন দিরাই-শাল্লার বিভেদকে একীভূত করে দিলো। যা এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সুফল বয়ে আনবে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মনে করেন।
এদিকে দুই জাসদের দুই প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (ইনু), সালেহীন চৌধুরী শুভ (আম্বিয়া), জাতীয় পার্টির শেখ জাহের আলী, গণতান্ত্রিক পার্টির গুলজার আহমদ, স্বতন্ত্ররা হলেন সামছুল হক চৌধুরী, ফখরুল আলম চৌধুরী, সৈয়দুর রহমান। এরা সকলেই প্রার্থী জয়া সেনের কাছে গুরুত্বহীন বলে মনে করেন ভোটাররা।
এদিকে, জয়া সেনের মনোনয়ন দিরাই-শাল্লার রাজনীতি নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতি থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি এক সময় সুনামগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য থাকলেও নিজ এলাকা দিরাই-শাল্লায় প্রতিনিধিত্ব করার আশা দীর্ঘদিনের। তার মূল লক্ষ্য ছিল দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ-২) আসনে নির্বাচন। এই আসনে সুরঞ্জিত সেনের অনুপস্থিতির সুবাধে সেনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে তিনি নেতৃত্ব পাবেন এমনই আশা করেছিলেন। কিন্তু জয়া সেনের মনোনয়ন আশাহত করেছে তাকে। মতিউর রহমান এনিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তার ভবিষ্যৎ নির্বাচন রাজনীতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার অনুসারীরা।
দিরাই-শাল্লায় জয়া’র বিকল্প নেই
Posted Onসুনামগঞ্জ -২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের ৩০শে মার্চের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন অনেকেই। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ ইনু, জাসদ আম্বিয়া, গণতান্ত্রিক পার্টিসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া এখানে অন্য কোনো প্রার্থীকে হিসেবে আনছেন না ভোটাররা। তাদের মতে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে না। তাই সুরঞ্জিত সেনের এই আসনে জয়া সেনের জয় নিশ্চিত। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ভবিষ্যৎ নির্বাচনে এ সুনামগঞ্জ-২ আসনের জন্য একজন শক্তিশালী প্রার্থী বেছে নিলো। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসনের শক্তিশালী প্রার্থী বিএনপির নাসির চৌধুরীকে টেক্কা দিতে জয়া সেনের মতো প্রার্থীই যোগ্য এমনই মন্তব্য সাধারণ মানুষের।