- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন মা রিনা আক্তার (২৭)। গুরুতর অবস্থায় দুই সন্তানকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার রামাকান্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রিনা আক্তার রামাকান্তপুর গ্রামের আবদুল আজিজের স্ত্রী। দুই সন্তান আফরিন আক্তার (৫) ও ছেলে আবদুল মামিন (৩)। এলাকাবাসী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে সিংগাইরের বলধারা ইউনিয়নের রামাকান্তপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আজিজের সঙ্গে একই উপজেলার জয়মণ্টপ ইউনিয়নের চর ভাকুম গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে রিনার বিয়ে হয়। প্রায় ১২ বছর ধরে আজিজ সৌদি আরব থাকেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়। শ্বশুর-শাশুড়িও ওই গৃহবধূকে মানসিক নির্যাতন করতেন। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই শিশুসন্তনকে বিষ খাইয়ে রিনাও বিষপান করেন। এরপর মুমূর্ষ অবস্থায় মা ও দুই সন্তানকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতেই শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সোহওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিনার চাচা মিজানুর রহমান জানান, আজিজ সৌদি থাকলেও মোবাইলে রিনার সঙ্গে সে দুর্ব্যবহার করতেন। শ্বশুর-শাশুড়িও রিনাকে মানসিক নির্যাতন করতেন। এসব বিষয় মেনে নিতে না পারায় রিনা দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার ভাতিজি রিনার লাশ দেখতে পান। পরে শিশু দুটিকে সোহওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছে বলে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রিনার শ্বশুর আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমি বাড়ির বাইরে আছি। ছেলে সঙ্গে বউয়ের কী হইছে তা তো কয় নাই।’ মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। সিংগাইর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য রিনা আক্তারের লাশ মানিকগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]