সেখানে বেআইনিভাবে অর্থগ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রশাসন) বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এরপর প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে ভর্তি বাবদ ওই প্রধান শিক্ষক এভাবে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো হিসাব রাখা হয়নি। প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা দুদক টিমের কাছে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকারও করেন। অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দুদক শিক্ষা সেক্টরে দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে। তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে।’
দুদকের অভিযান: অবৈধ অর্থ আদায়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক
Posted Onশিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলকভাবে বেআইনি অর্থগ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে। দুদক জানায়, তাদের হটলাইনে (১০৬) ভুক্তভোগী অভিভাবকরা গতকাল অভিযোগ জানালে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপসহকারী পরিচালক মো. সবুজ হাসানের সমন্বিত দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।