- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

ধোপাজান নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক :সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন ধোপাজান চলতি নদীতে বার বার অভিযান পরিচালনা করার পরও নিষেধ অমান্য করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে কতিপয় অসাধু বালু ও পাথর ব্যাবসায়ী। উক্ত অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত ৫ মে বুধবার এক অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ। দিনব্যাপি বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিত তালুকদারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে পাথর ও বালু বোঝাই ৮ টি বাল্কহেড ও ৪ টি ড্রেজার মেশিন আটক করা হয়। এর আগে ২রা মে রোববার রাতে ধোপাজান নদীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিশ্বম্ভরপুর থানা সহযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

৩রা মে সোমবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভাদেরটেক গ্রামের আবুল খায়ের এর পুত্র বালিদস্যু বাবুল মিয়াকে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আটককৃত ১৩টি নৌকা হতে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর আগে ২৮ এপ্রিল ধোপাজান নদীতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধের নিমিত্তে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর বাজারের সামনে ধোপাজান নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অফিসার ইনচার্জ, বিশ্বম্ভরপুর থানা সহযোগে একটি অস্থায়ী ব্যারিকেডের (প্রতিবন্ধকতার) ব্যবস্থা করা হয়। বিশ্বম্ভরপুর বাজারে হাট বাজার তহবিল হতে নির্মিতব্য ৮ টি দোকান ঘরের কাজের উদ্বোধন, পলাশ বাজারে খাস জায়গায় অস্থায়ী শেড স্থাপন,যাত্রী ছাউনি নির্মাণের স্থান নির্ধারণ, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের উদ্বোধন করা হয়।

জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকলেও অবৈধ বালি পাথর উত্তোলন ঠেকাতে পারছেনা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন। এক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ধোপাজান নদীর প্রবেশমুখে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন সুরমা পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ জনগনের এ ন্যায়সঙ্গত দাবী বাস্তবায়নের প্রতি প্রশাসনের কার্যত কোন ভূমিকাই পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। ফলে বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন। এদিকে সরজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রতিনিয়ত বালি পাথর উত্তোলন, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার ও নদীর তীর কাটার সাথে জড়িত রয়েছেন ধোপাজান নদীর পশ্চিম পাড়ের পশ্চিম ডলুরা, কালিপুর, আদাং, পুরান মথুরকান্দি, সোনারপাড়া, জিনারপুর, রামপুর, মনিপুরিহাটি, ভাদেরটেক ৯টি গ্রামের কতিপয় বালিদস্যুরা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বারংবার আর্থিক জরিমানা করলেও এচক্রের সাথে জড়িতরা বন্ধ করছেনা নদীর পাড় কাটা। এছাড়াও অবৈধভাবে বালি পাথর উত্তোলনকারীদের পক্ষে দালালীতে লিপ্ত রয়েছেন আশপাশ গ্রামের কিছু মানুষ।

পরিবেশ আন্দোলনের নেতা জসীম উদ্দিন দিলীপ ও সুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা বলেন, সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বেপরোয়াভাবে বালি পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন প্রতিনিয়ত বালি পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান পরিচালনা করলেও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা হঠাৎ করে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রশাসনের বিনা বাধায় দেদারছে চলছে বালিপাথর উত্তোলন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমরা অবৈধ বালি পাথর উত্তোলন ঠেকাতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টা চলছে এবং অব্যাহত আছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]