- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল নীলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

এম এ আহমদ আজাদ:

নবীগঞ্জ থানার কমর্রত নারী কনস্টেবল আয়েশা আক্তার নীলা (২৩) কে তার শ্বশুর বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নীলার ৩ দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। কনস্টেবল নীলার মৃত্যুতে নবীগঞ্জ থানায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। তার সহকর্মীরা নীলার হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করেছেন।

গত রোবাবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নরসিংদি জেলার মনোহরদি থানার চারাকান্দি গ্রামস্থ নীলার শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নরসিংদি জেলার মনোহরদি থানার চারাকান্দি গ্রামের জালাল মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার নীলা দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। সে একই উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের কন্যা। গত কয়েক দিন আগে ১ মাসের ছুটি নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যায় আয়েশা আক্তার নীলা।
পুলিশ জানায়, গত রোবাবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নীলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুলিশকে খরব দেয় যে নীলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করতে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশের সন্দেহ হয় যে নীলাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় পুলিশ নীলার দেবর কবির, হিমেল ও সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনার পর থেকে নীলার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন, তার স্বামীই তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, নবীগঞ্জ থানার নারী কনস্টেবল মনি আক্তার জানান, নীলার মৃত্যুতে আমরা হতবাক হয়েছি। সে অত্যান্ত ভদ্র ও ন¤্র ছিল সব সময় কাজে মনোনিবেশ রাখতো। কারো সাথে অতিরিক্ত কথা বলতো না। দায়িত্বের প্রতি ছিল অত্যান্ত মনোযোগী। এবং তিনি তার সহকর্মী নীলার হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মনোহরদি থানার ওসি সাজ্জাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দেবরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নীলা নবীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিল। গত কয়েকদিন আগে সে ১ মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যায়। তবে তার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]