পরিবার থেকে পালিয়ে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদের নিরাপত্তায় একজন প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।একটি স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে রাহাফ যাতে কখনও একা না হয়ে যান, সেটি নিশ্চিত করতে এ প্রহরী নিয়োগে সাহায্য করেছে টরোন্টোর একটি সংস্থা।কোস্টি নামের সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টারর্স এমন তথ্য জানিয়েছে। ১৮ বছর বয়সী এ তরুণীকে বহুবার অনলাইনে হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছিলেন তিনি। কোস্টির নির্বাহী পরিচালক ক্যালা সাংবাদিকদের বলেন, তাকে দেয়া হুমকিগুলো কতটা মারাত্মক ছিল, তা বলা মুশকিল। কিন্তু বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছি। মঙ্গলবার টরোন্টোতে এক বিবৃতিতে পারিবারিক নাম কুনুন ঝেড়ে ফেলেছেন রাহাফ। বিশ্বব্যাপী নির্যাতন শিকার হওয়া নারীদের জন্য লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞার কথাও জানিয়েছেন রাহাফ মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আজ ও আগামী দিনগুলোতে আমি বিশ্বজুড়ে নারীদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। কানাডায় আসার পর প্রথম দিন আমি যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি, ঠিক সেভাবেই নারীদের হয়ে লড়াই করব। টরোন্টোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সৌদি আরবে জীবনের হুমকি নিয়ে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন রাহাফ। কানাডার সরকার তাকে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে আশ্রয় দিয়েছে। সৌদি আরবে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কায় ব্যাংকক বিমানবন্দরে হোটেল কক্ষে নিজেকে ব্যারিকেড দিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কাড়েন ১৮ বছর বয়সী এ তরুণী। তার আশঙ্কা ছিল- সৌদি আরবে তাকে ফেরত পাঠালে পরিবার তাকে হত্যা করতে পারে। যদিও তার পরিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে পরিবার তাকে ত্যাজ্য করেছে। এতে নামের শেষাংশ ঝেড়ে ফেলেছেন তিনি। রাহাফ বলেন, পরিবার আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। আমার নিজেকে ও আমি কী হতে চেয়েছি, তা মেনে নেয়া হয়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn