- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৯

 জালিয়াতির করে প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের সমাধান করে দেয়া চক্রের মূলহোতা তনয় ও আকাশসহ ৯ জনকে আটক করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। আটকদের মধ্যে সাতজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়। আটককৃতরা হলেন- তানভীর আহমেদ মল্লিক, মো. বায়জিদ, নাহিদ ইফতেখার, ফারদিন আহমেদ সাব্বির. প্রসেনজিৎ দাস, রিফাত হোসাইন এবং আজিজুল হাকিম।  দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের পর সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, গত তিন বছরে তাদের এধরনের জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রত্যেকটি পরীক্ষায় লেনদেন হয়েছে ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, গত ১৪ নভেম্বর এ চক্রের ‘হোতা’ এনামুল হক আকাশকে গাজীপুর ও নাবিদ আনজুম তনয়কে রংপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অর্গানাইজ ক্রাইম ইউনিট (সিআইডি)। এরপর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ৭ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির ঘটনার অন্যতম মূল হোতা নাভিদ আনজুম তনয় (২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আকাশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তর বলে দিয়ে এবং পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে আসছিল।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত তনয় জানিয়েছে, ২০১৫ সাল এবং ২০১৬ সালে টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল ডিভাইস এবং পরীক্ষার আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে অবৈধ উপায়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সহায়তা করেছে। তনয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম টিম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে প্রক্টোরিয়াল টিমের সহায়তায় অবৈধ উপায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জনকে আটক করা হয়।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]