- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

প্রেমের টানে ঢাকা থেকে সিলেটে তিন সন্তানের জননী

সিলেট: সিলেট গোলাপগঞ্জে প্রেমের টানে ঢাকা থেকে মুসলিম যুবকের কাছে পালিয়ে এসেছেন এক হিন্দু তরুণী।ঘটনাটি ঘটেছে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় গ্রামে। প্রেম মানে না জাত কুল,প্রেম মানেনা বাধা। পুরান ঢাকার মেয়ে সীমা সিংহ (৩৫)। নতুন বছরের শুরুতে স্ব-পরিবার নিয়ে এসেছিলেন সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারে। ঐ দিন সেখানেও গিয়েছিলেন গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণের যুবক বদরুল ইসলাম (৩০)। সেখানে সাক্ষাত হয় সীমাও বদরুলের। একে অপরকে দেখে ভাল লেগে যায়।তখন বদরুল সীমাকে কৌশলে তার নাম্বার দিয়ে দেয়। পরে বদরুল মাজার জিয়ারত শেষে চলে আসেন এবং সীমাও তার স্ব-পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। বদরুল জানতোনা সীমা সিংহ বিবাহিত।সীমার ৩ সন্তান ও রয়েছে। বড় মেয়ে এবারের এইস এসসি পরীক্ষার্থী। একটি ছেলে সেখানকার একটি স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র। আরেকটি ছেলের বয়স প্রায় ৪বছর হবে। প্রেমতো কোন বাধা মানেনা। সুন্দরী সীমা সিংহ বাড়িতে গিয়ে বদরুলের দেয়া মোবাইল নাম্বারে কল দেন। শুরু হয় বদরুল ও সীমার প্রেম। প্রায় ১ মাসের মাথায় গত বুধবার পুরান ঢাকা এলাকার খোকন চন্দ্র সিংহের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী সীমা সিংহ বদরুলের প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে গোলাপগঞ্জে চলে আসেন।

আর গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির রায়গড় গ্রামের মৃত ইরফান আলীর পুত্র বদরুল ইসলামও তার প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে তার বাড়ীতে তুলেন। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, সুন্দরী সীমাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ঢাকা কতোয়ালী থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার স্বামী খোকন চন্দ্র সিংহ। এ দিকে গতকাল রবিবার মোবাইলে সীমার অবস্থান গোলাপগঞ্জে নিশ্চিত হয়ে ঢাকাদক্ষিণ অপু ভিলায় সীমার পরিবারের লোকজন তাকে নিতে আসেন। এ সময় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী জড়ো হন। তখন বদরুল ও সীমার পরিবারের লোকজনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে প্রেমিক যুগলকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সীমা জানান বদরুল ও সীমা দু’জনে স্বামী স্ত্রী । সে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সীমা সিংহ নাম পরিবর্তন করে সীমা ইসলাম রেখেছে।কিন্তু এসব বিষয়ে সীমা ও বদরুল পাকাপোক্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বদরুলকে ছেড়ে পরিবারের সাথে যেতে সীমাকে বারবার অনুরোধ করে তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু সীমা সিংহ প্রথমে যেতে চাইছে না, পরে সোমবার সীমা শেষ পর্যন্ত পরিবারের সাথে যেতে রাজি হয়। থানা পুলিশের হাতে প্রেমিক যুগল আটকের পর সীমা সিংহকে খুব হাসি খুসিতে দেখা যায়। তখন প্রেমিক বদরুল ছিলেন থানার লকাপে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সততা নিশ্চিত করে জানান, সীমা পরিবারের সাথে প্রথমে যেতে রাজি না হলে পরে তার পরিবারের সাথে যেতে রাজি হয়

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]