- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

বাংলাদেশ ‘হ্যাকার গ্রুপের’ বিরুদ্ধে ফেইসবুকের ব্যবস্থা

বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দুটো ‘হ্যাকার গ্রুপের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ফেইসবুক জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার ছড়ানো এবং ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার মত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল গ্রুপগুলো। তাদের সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা স্থানীয় অধিকারকর্মী, সংবাদিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি, এমনকি প্রবাসে থাকা কারও কারও অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। ফেইসবুকে ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ ভঙ্গের ভুয়া রিপোর্ট করে কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করানোর ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল।  ফেইসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে তাদের তদন্তে বাংলাদেশের দুটো ‘অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের’ নাম এসেছে, যারা ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন সেবার সঙ্গেও জড়িত। এর মধ্যে একটি হল ডনস টিম, যা ডিফেন্স অব নেশন নামেও পরিচিত। অন্য প্রতিষ্ঠানটির নাম ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন- সিআরএএফ।
এসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া অ্যাকাউন্ট, মেধাস্বত্ত্ব চুরি, অশ্লীলতা ও সন্ত্রাসবাদের স ঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে ফেইসবুককে রিপোর্ট করত। “সেই সঙ্গে তারা ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ও পেইজ হ্যাক করত এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেগুলো নিজেদের কনটেন্ট ছড়ানোর মত কাজে ব্যবহার করত।   “অন্তত একটি ঘটনায় একজন পেইজ অ্যাডমিনের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা অন্য অ্যাডমিনদের সরিয়ে দেয় এবং পেইজটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়।” ফেইসবুক জানিয়েছে, ই মেইল এবং ডিভাইস হ্যাকিংয়ের পর ফেইসবুকের অ্যাকাউন্ট রিকভরি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তারা ব্যবহারকারীদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কাজটি করত বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের কাজে যে অ্যাকাউন্ট ও পেইজগুলো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলো ফেইসবুক সরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারকাীদের সতর্ক হতে এবং নিজেদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা এবং নির্ভরযোগ্য নয়- এমন উৎস থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে ফেইসবুক।
ভিয়েতনামে যে গ্রুপটির বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের নাম এপিটি৩২। তারা মূলত দেশটির মানবাধিকার কর্মী, লাওস, ক্যাম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং আইটি, হসপিটালিটি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।  এ কাজে তারা অধিকারকর্মী বা ব্যবসায়ীর ভুয়া পরিচয়ে খোলা কিছু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে, আবার কখনও রোমান্টিক প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করত। যাদের তারা টার্গেট করত, তাদের বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য প্রলুব্ধ করা হত, যেগুলো শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভাইসে নজরদারির কাজে লাগানো হত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]