- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

বায়ান্ন বছর পর স্বীকৃতি পেলেন শহরের মুক্তিযোদ্বা সাব্বির

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মরহুম সাব্বির আহমদ। গত ১লা জুন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সাব্বির  আহমদ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠদের অন্যতম মরহুম এডভোকেট আকমল আলী সাহেবের প্রথম সন্তান। সাব্বির আহমদ দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনিতা যুদ্দ্বে অংশ গ্রহন করেন। তিনি স্কুল জীবনে  বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগে যোগদেন। সুনামগঞ্জ শহরের এক সময়ের সুপরিচিত মুখ সাব্বির আহমদকে সুনামগঞ্জে “স্বাধীনতার ঘোষক” বলা যায়। প্রথম প্রতিরোধে তিনিই প্রথম মাইক হাতে  সুনামগঞ্জের শহরবাসীকে হানাদার প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

সাব্বির আহমদ জীবিত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির তোয়াক্কা করেননি। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ বছর চেষ্টা তদবির করেও সে স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের যাচাইবাছাই কমিটির বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫২ বছর পর সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিলো। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সরকারমুক্তিযোদ্ধা সাব্বির ও তার পরিবারকে  সম্মানিত করায় তার স্বজন ও বন্ধুবান্ধব সকলে আনন্দিত এবং প্রাধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিনা ও তার সরকারে কাছে কৃতজ্ঞ।

সাব্বির আহমদের সহযোদ্ধা শাহীনূর রশিদ চৌধুরী ও বন্ধু প্রদীপ দাশ ঘৃণা ও ক্ষোভের সাথে জানান, কিছু সংখ্যক কুচক্রীমহলের কারনে দীর্ঘদিন একজন প্রকৃত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা উপযুক্ত স্বীকৃতি পাননি। তারা বলেন, জুনের ১ তারিখ গেজেট নোটিফিকেশন হলেও কিছু কর্মকর্তা অসত উদ্দেশ্য নিয়ে সে খবর চেপে রাখেন। সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মুখে খবর পেয়ে অফিসে অফিসে ধন্যা দিয়েও প্রকৃত খবর জানা যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে গেজেট নোটিফিকেশনের ১১ দিন পর সরকারি ভাবে  পরিবারকে চিঠি সরবরাহ করা হয়।  বিশেষ করে কিছু অসৎ  মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যাংক কর্মচারীদের যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ” উপরি ইনকাম হিসাবে এই সব ব্যক্তিবর্গ সার্ভিস চার্জের কথা বলে প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা থেকে কিছু টাকা কেটে রাখেন। ঋণ দেবার কথা বলেও একটা  পার্সেন্টিজ দাবী করেন।” মুক্তিযোদ্ধা শাহীন ও প্রদীপ দাশ উভয়ে এসব অনিয়ম বন্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে হয়রানি না করার দাবী জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]