- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

বিএনপি-জামায়াত একটি সন্ত্রাসী জোট: জয়

সেই ভয়াবহ ২১ আগস্টের শোকাবহ দিন আজ। ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ দিনটি নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার (২১ আগস্ট) বিএনপি-জামায়াত জোটকে সন্ত্রাসী জোট আখ্যা দিয়ে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন। এতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছিল এবং কারা কোথায় সেই পরিকল্পনা করেছিল তা জানাতে একটি তথ্যচিত্র শেয়ার করেছেন।

নিজের ফেসবুক পেজে ওই ভিডিও শেয়ার করার পাশাপাশি এ সম্পর্কে বেশ কিছু কথাও বলেছেন জয়। তিনি বলেন, কীভাবে পরিকল্পনা হয়েছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার? কারা কোথায় পরিকল্পনা করেছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দেখুন তথ্যচিত্রে সংযুক্ত জঙ্গি মুফতি হান্নানের সেই স্বীকারোক্তি।

তথ্যচিত্রটি নিয়ে জয় বলেন, ২১ আগস্টের সেই ভয়াবহতা কেমন ছিল, কীভাবে একের পর গ্রেনেডের বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা লুটিয়ে পড়ছিল, আর সেই সময় পুলিশ কীভাবে পালাতে সাহায্য করেছিল – তথ্যচিত্রে সেই বিষয়েও কথা বলেছেন সাংবাদিক টিপু সুলতান।

তিনি আরো জানান, তথ্যচিত্রের শুরুর দিকে আপনারা শুনবেন জজ মিয়ার কথা, পরে জানবেন তার মায়ের কথা। কীভাবে প্রকৃত খুনিদের বাঁচাতে ‘জজ মিয়া’ নাটক এর অবতারণা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার- জজ মিয়ার মা স্পষ্ট করে বলেছেন সেইসব দিনের কথা। এই তথ্যচিত্রে জানতে পারবেন- গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মীদের কথা, তাদের মনের না বলা কষ্টের কথা।

এরপর সজীব ওয়াজেদ জয় দেশবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন- রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কোন পর্যায়ে পৌঁছালে এভাবে দেশের প্রাচীনতম দলকে নেতৃত্বশূন্য করতে এরকম ঘৃণ্য পরিকল্পনা করতে পারে একটি জোট, তারা কী এই দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে? বাংলাদেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বানানোই ছিল তাদের এজেন্ডা!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্ঠা তার শেয়ার করা তথ্যচিত্রটি সবাইকে দেখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন সবাই তথ্যচিত্রটি দেখবেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন, বিএনপি-জামায়াত জোট একটি সন্ত্রাসী জোট- এই তথ্যটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে নিজের নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। স্ট্যাটাসে শেষ দিকে এসে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ সকল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]