ব্রিটেনের অভিবাসনমন্ত্রী রবার্ট গুডউইল বলেন, ‘সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নিয়ে বিদেশি অপরাধীদের কাজ করার কোনো সুযোগই থাকা উচিত নয়। অপরাধীদের ভিসা না দেয়ার অধিকার আমাদের আগে থেকেই আছে। অপরাধের তথ্য যাচাই শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আরেকটি স্তর তৈরি করবে।’

ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই বিধি অনুসারে টায়ার টু বিভাগে নির্দিষ্ট পেশার জন্য আবেদনকারীদের অপরাধবিষয়ক তথ্য যাচাই করা হবে। আবেদনকারীদের দেশের সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গত ১ থেকে ১০ বছরে অপরাধে জড়িত না থাকার সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং তা ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। কোনো আবেদনকারীর সহযোগী থাকলে তাকেও এই সনদ দিতে হবে। বিধিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দেশে ‘যৌক্তিক কারণে’ এ ধরনের সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া না থাকে তাহলে বিধিটি শিথিল করা হতে পারে। ব্রিটেনের প্রচলিত ভিসা আইনে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি চার মাস বা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডের রায় থাকে তাহলে ব্রিটিশ সরকার ওই ব্যক্তিকে ভিসা না দেয়ার অধিকার রাখে। এর চেয়ে কম মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় থাকা ব্যক্তিদের সাজাভোগের পর থেকে সর্বোচ্চ দশ বছরের জন্য ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিধানও রয়েছে আইনে। বিধিটি প্রস্তাব করেছে ব্রিটেনের অভিবাসী উপদেষ্টা কমিটি। দেশটির ভিসা প্রক্রিয়ায় যেসব সুপারিশ দিয়েছে কমিটি সেগুলোর মধ্যে এই প্রস্তাবটি ছিল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn