- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

ব্রিটেনে তরুণদের জন্য চালু হচ্ছে নতুন বিজনেস ভিসা

স্কিল ওয়ার্কারদের জন্য বরাদ্ধকৃত কোটা পূর্ণ হওয়া গত ডিসেম্বর মাস থেকে ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান বন্ধ থাকলেও আগামী বছরের মার্চ থেকে বিজনেস ভিসা ক্যাটারিতে নতুন ভিসা নীতি চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। স্কিল ওয়ার্কারদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিসা নীতির তীব্র সমালোচনা যখন চলছে ঠিক তখন নতুন ভিসা নীতি ঘোষনা করছে হোম অফিস। টিয়ার ওয়ানের আন্ডারে ‘স্টাটআপ বিজনেস ভিসা’ নামের নতুন এই ভিসা নীতি বুধবার ঘোষনা করা হয়। এই ভিসায় ব্রিটেন আসতে পারবেন নন ইউরোপীয় দেশের নাগরিকরা। এ জন্য ভিসা প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে কোন ডিগ্রির প্রয়োজন হবেনা। আগামী ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাবিদ জানিয়েছেন মেধাবী ও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতেই এই নতুন ভিসা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতিও লাভবান হবে। তিনি বলেন ব্রিটেনে যারা ব্যবসা করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে। জানাগেছে মাইগ্রেশন এডভাইজারী কমিটির সুপারিশ এবং পরামর্শে এই ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব তাড়াতাড়ি ভিসা আবেদনের নিয়ম প্রকাশ করবে হোম অফিস।
নতুন এই ভিসার জন্য হোম অফিস ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রতিষ্টান, ইউনিভার্সিটিকে দায়িত্ব দেবে সঠিক ভিসা প্রার্থী যাচাইয়ের জন্য। হোম অফিসের অনুমোদিত এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যথাযথ অনুমতি পেলেই ভিসা আবেদন করা যাবে। সরকারের টার্গেট এই ভিসার অধিনে অন্ত:ত ২০০০ তরুন উদ্যোক্তা ও মেধাবী ব্যবসায়ৗকে ব্রিটেনে আসার সুযোগ করে দেওয়া। বিশেষ করে আইটি সেক্টরের উদ্যোক্তাদের এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। টিয়ার ওয়ান স্টাটআপ বিজনেস ভিসার জন্য ব্রিটেনে বসবাসরত কিংবা বাহির থেকেও আবেদন করা যাবে। এদিকে ব্রিটিশ হোম অফিসের টিয়ার ২’র আন্ডারে প্রতি বছর স্কিল ওয়ার্কারদের জন্য ২০৭০০টি ওয়ার্কপারমিট ইস্যু করা হয়। এ বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই কোয়টা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কোন ওয়ার্কপারমিট ভিসা ইস্যু হয়নি। ভিসা প্রাপ্তির সকল কায়টেরিয়া ফিলাপ করার পর গত চার মাসে ৬হাজার ৮০টি ভিসা রিফিউজ করেছে হোম অফিস। ফলে এন্এইচএস, শিক্ষকতা ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় টিয়ার ২ এর সংস্কারের দাবী তুলে ধরা হয়েছ সরকার দলীয় কেবিনেট থেকে। টিয়ার ২’র সংস্কার হলে উপকৃত হবেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট মালিকরা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]