রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনির কানামোড়ের একটি বাড়িতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ভাইয়ের সামনে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরী নিজে বাদী হয়ে রবিবার সকালে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ৫ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গণধর্ষণে জড়িত ৩ বখাটেকে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার আসামি অপর ২ বখাটেকে পুলিশ খোঁজছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শিরোইল কলোনি কানামোড়ের মৃত সাহিন ইকবালের ছেলে জাফর (৩০), একই এলাকার রবিন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী সাগর দাস (২৬) ও জাহিদ হাসানের ছেলে রনি (২৩)। মামলা সূত্রে জানা যায়, জাফর শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বসে থাকা ১৩ বছর বয়সের ওই কিশোরী ও তার ৫ বছরের ছোট ভাইকে ভাত দেয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে কুটুমবাড়ি নামক হোটেলে যান। এরপর অপর আসামিরা তাদের রিকশায় করে কানামোড়ের জাফরের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে প্রথমে জাফর মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে জাফর কাচের বোতল দিয়ে মেয়েটির মাথায় ও পায়ে আঘাত করেন। পরে ৫জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের স্টেশন পাড়ায়। কাজের সন্ধানে ছোট ভাইকে নিয়ে রাজশাহী আসেন। কিন্তু রাত অনেক হয়ে যাওয়ায় তারা স্টেশনে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু আশ্রয় এবং ভাত খাওয়ানোর কথা বলে জাফরের নেতৃত্বে ৫ বখাটে মিলে মেয়েটি ও তার ভাইকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের করার চেষ্টা চলছে।