মলাটে বেঁধে কবরীর ‘স্মৃতিটুকু থাক’
ষাটের দশকে স্কুল পড়ুয়া মিনা পালের বাংলা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে কবরী রূপে। সেলুলয়েডের বাইরে রাজনীতি জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি দুই মলাটে বেঁধে তিনি তুলে এনেছে তারই জীবনকথা। এরই মধ্য দিয়ে এ অভিনেত্রী প্রথমবারের মত একুশের বইমেলায় আসছেন লেখক পরিচয়ে ‘স্মৃতিটুকু থাক’ শিরোনামে কবরীর এই আত্মজৈবনিক রচনায় ঢাকাই সিনেমার সদর-অন্দরের পাশাপাশি এই শিল্পের উপর যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতির অভিঘাতের কথাও উঠে এসেছে। সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবিতে অভিষেক; এর পর অর্ধশতকে দুই শতাধ্কি সিনেমায় আলো ছড়িয়েছেন কবরী। শীর্ষ পাঁচ ঢাকাই নায়কের অভিষেক ঘটেছে তার হাত ধরেই। বই লেখা প্রসঙ্গে কবরী বলেন, ‘আমার কিছু অজানা কথা আপনাদের জানানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করেছি।’ ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘অনির্বাণ’, ‘দীপ নেভে নাই’সহ অর্ধশতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৭৩ সালে ‘রংবাজ’ সিনেমায় দর্শক এক লাস্যময়ী কবরীকে আবিষ্কার করে। সেই চলচ্চিত্রের ‘সে যে কেন এল না, কিছু ভালো লাগে না’ গানটি এখনও বহু দর্শকের বুকে বাজে। ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ধারণ করেছে কবরীর সেই সময়ের কথাও। এসেছে ভোটের মাঠে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা, এক সময় যে পরিবারের বধূ ছিলেন তিনি। এরপর কবরী নবম সংসদে আওয়ামী লীগের সাংসদও হয়েছিলেন। এদিকে ২০০৬ সালে মুক্তি পায় কবরীর পরিচালার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়না’। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।