বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বাংলাদেশি শারমিন আক্তার পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৪ জন নারীকে এই সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যাননের হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন শারমিন আক্তার। যারা ব্যক্তিগত ঝুঁকি সত্ত্বেও শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, নারী-পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রেখেছেন, তাদের অসাধারণ সাহসিকতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের এই পুরস্কার এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে শতাধিক নারীকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সাহসিকতার জন্য প্রশংসিত শারমিন বর্তমানে রাজাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এবং সমাজের ক্ষতিকর প্রথা বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে তিনি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবী হবার স্বপ্ন দেখেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাকে বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে তার মা’র চেষ্টার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে রুখে দাঁড়ান শারমিন আক্তার। অব্যাহত রাখেন লেখাপড়া। যা শারমিনের মতো একই রকম চাপের সম্মুখীন দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ মেয়েদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দূতাবাস জানায়, বিশ্বের যেসব দেশে বাল্যবিবাহের হার বেশি বাংলাদেশ সেগুলোর একটি, বাল্যবিবাহের এই ধারা লাখ লাখ মেয়ের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও শিক্ষার অধিকারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে যা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করে। নিজের চেয়ে কয়েক দশক বেশি বয়সের বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে শারমিন অসাধারণ সাহস ও আত্ম-বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। শেষ পর্যন্ত তার মা ও হবু বরকে আইনের আওতায় আনা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn