- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

শালীকে হত্যা অভিযোগে দুলাভাই গ্রেফতার

সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে প্রিয়া ওরফে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় বৃষ্টিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তারই আপন দুলাভাই। বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান। এই ঘটনায় দুলাভাই রিয়াজ ওরফে সুমনকে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, ‘সোমবার তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাজধানীর মগবাজারের বৈকালী আবাসিক হোটেলে ৪০৭ নম্বর রুমে ওঠেন। এসময় সুমন বৃষ্টির সঙ্গে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক করতে চান। বৃষ্টি এতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় সুমন বৃষ্টির ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে করে তাকে হত্যা করেন। বিষয়টি ভিন্ন দিকে নিতে ওড়নার এক অংশ গলায় পেঁচিয়ে অন্য অংশ দাঁত দিয়ে কেটে হোটেল রুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে নাস্তা আনার কথা বলে এক ঘণ্টা পর রুমে ফিরে আসেন।’ অধিনায়ক বলেন, ‘এসময় সুমন হোটেলের লোকজনকে বলেন, প্রিয়া গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে হোটেলের লোকজন এলে সুমন নিজেই ঝুলন্ত অবস্থায় প্রিয়াকে ওপর থেকে নামিয়ে মাথায় পানি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। স্বজনেরা মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করে।’ র‌্যাব জানায়, ওই দিনই সুমনকে প্রধান আসামি করে বৃষ্টির বাবা মো. আনোয়ার হোসেন রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছেন তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িচালক। আর বৃষ্টি তেজগাঁও এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২০১০ সালে বৃষ্টির বড়বোনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। দুই তিন বছর ধরে সুমন তার শ্যালিকাকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতেন। পরে দুইজনই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে বৃষ্টির অনত্র বিয়ে ঠিক হয়। এটা স্বাভাবিকভাবে না নিতে পেরে বৃষ্টিকে সোমবার হোটেলে ডাকেন। পরে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে বৃষ্টি রাজি না হওয়ায় তাকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]