শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউপির আঙ্গারুয়া গ্রামের মৃত হরিপদ দাস মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু সরকারি সহায়তার সার ও বীজ বিতরণের তালিকায় তার নাম রয়েছে। মৃত হরিপদ দাসের নামে বরাদ্দ এ সার ও বীজ তুলে নেয়া হয়েছে। এ রকম অনেক অভিযোগ উঠেছে শাল্লা উপজেলার বোরো ফসলহারা কৃষকদের কৃষি সহায়তার বীজ ও সার বিতরণের তালিকায়। অভিযোগ রয়েছে, নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি কার্ড পেয়েছেন। এতে করে প্রকৃত অনেক কৃষকই সহায়তার সার ও বীজ পায়নি।

গেল মৌসুমে বোরো ফসলহানীর পর সরকারিভাবে প্রকৃত কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে জেলার সবক’টি উপজেলায়। শাল্লা উপজেলায় সরকারিভাবে এ বছর ২৪ হাজার ৬১৫ জন কৃষককে কৃষি পুনর্বাসন তালিকায় নাম উঠানো হয়েছে। প্রত্যেককে ৫ কেজি ধান বীজ, ৩০ কেজি সার ও নগদ এক হাজার টাকা প্রদান করা হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, শাল্লায় কৃষকের তালিকা তৈরিতে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে এ কৃষক পুনর্বাসন তালিকা করা হয়। ফলে অনেক কৃষকই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষি অফিসের লোকজনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির এ অভিযোগ করেন কৃষকরা। শাল্লা উপজেলার বাসিন্দা ক্ষিতিশ বিশ্বাস বলেন, পরিচিত দেখেই পুনর্বাসনের তালিকা করা হয়েছে। তাই একাধিক মৃত ব্যক্তির নামও তালিকায় রয়েছে। কৃষক শান্ত কুমার ও মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, অন্যান্য বছর এ সময় বীজতলায় বোরো ধানের চারা ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা হয়ে যেত। বিলম্বে বিতরণের কারণে এখনো অনেক স্থানে বীজতলা তৈরি করা হয়নি। এদিকে, অনিয়ম ও বিলম্বে বীজ ও সার বিতরণের কারণে ২১শে নভেম্বর ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে। এ ব্যাপারে বাহাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী বলেন, যারা বাকি রয়েছেন তাদের লিস্টে অন্তর্ভুক্তি করার কাজ চলছে।
আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ বলেন, সরকার ২৪ হাজারেরও অধিক কৃষককে কৃষি ভর্তুকি দিচ্ছে। তাতে কেউ বাদ পড়ার কথা নয়। তালিকা তৈরি করতে কিছু ভুল হয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান আমি এখন মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলবো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn