জানা গেছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে ইউজিসি দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ভিসিরা পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যুগান্তরকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স চালু আছে। সেগুলোকে সমন্বয় করা, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জটিলতা ও গোপনীয়তা, মাইগ্রেশন পদ্ধতি কিভাবে থাকবে সেগুলো বিবেচনায় আনার জন্য প্রথমত একটি স্বচ্ছ নীতিমালা প্রয়োজন। সেটা এখনও হয়নি। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি করা সম্ভব নয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহেই আটকে আছে এ পদ্ধতি। মূলত ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক বিশাল আয় আছে। সেই আয়ই এ ক্ষেত্রে বড় বাধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভর্তি পরীক্ষার ওপর সম্প্রতি গবেষণা চালায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প (হেকেপ)। ওই গবেষণায় বলা হয়, প্রতি ভর্তি মৌসুমে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়া, ভর্তি কোচিংসহ আনুষঙ্গিক খাতে একজন শিক্ষার্থীর গড়ে ৯৬ হাজার টাকা খরচ হয়। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর পক্ষে এ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয় না। এ প্রকল্পের অধীনে তৈরি ২০ বছর মেয়াদি উচ্চশিক্ষার কৌশলপত্র এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রস্তাবিত অপর কৌশলপত্রেও এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা আছে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn