সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সাথে ভোটের মাঠে পিছিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে আবারও রাজপথে দেখতে পেলেন নগরবাসী। হযরত শাহজালাল (রহ.) উরস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা\’র পক্ষ থেকে দরগাহে মাজারে গিলাফ ছড়াতে দেখা গেছে কামরানকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গিলাফ নিয়ে মাজারে রওয়ানা দেন।  মাজারে প্রবেশের সময় আশেপাশের জনতা কামরানকে আবারোও রাজপথে দেখে স্বাগত হাতনেড়ে স্বাগত জানিয়েছেন। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, মহানগর কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসাইন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল রকিব বাবলু, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, যুবলীগ নেতা মুশফিক জায়গীরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমদসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।এদিকে দরগাহ অফিসসূত্রে জানাগেছে বৃহস্পতিবার রাতের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয়েছে উরসের আনুষ্ঠানিকতা। এটি ৬৯৯ তম উরস। আয়োজনে যাতে কোন অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ধানের শীষ প্রতীকে আরিফ পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। নৌকা প্রতীকে কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৬২৬।ভোটের দিন মোট ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টিতে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বাকি দুই কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত ওই দুই ভোটকেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭।স্থগিতকৃত ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন হলে কামরান যদি সকল ভোট পান, তবে তিনি আরিফের চেয়ে ১৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হবেন। আর যদি আরিফ স্থগিতকৃত ওই দুই কেন্দ্র থেকে আরও ১৬২ ভোট পেয়ে যান, তবে তিনিই বিজয়ী হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn