সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, ‘সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিবার জেলায় সব কয়টি স্কুলের মধ্যে ভাল ফলাফল করে আসছে। এই স্কুল থেকে শিক্ষা অর্জন করে এগিয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিভাগে উচ্চপদস্থ আসন অলংকৃত করে স্কুলের নাম উজ্জ্বল করছেন অনেক শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ এখন শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। পুরুষদের চেয়ে নারীরা শিক্ষা অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছেন। নারীরা এখন উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’  তিনি বলেন, ‘আগে পৃথিবী জুড়ে রাজা ও বাদশাহদের নেতৃত্ব ছিল। কারণ তাদের রাজত্ব ছিল সকল স্থানে। এখন যুগ পাল্টে গেছে। এখন মেধায় চলছে পৃথিবী। সৃজনশীল মানুষদের দেশজুড়ে এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কোনো ধন সম্পদে নয়। টাকা দিয়ে কেউ মেধা কিনতে পারে না। মেধা অর্জন করতে হয়।’  তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে      বলেন, ‘অনেক অভিভাবক আছেন, তাদের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করতে চান তাদের ছেলে মেয়েকে দিয়ে। ছেলে মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জিপিএ-৫ পেতে চাপ সৃষ্টি করেন। এটা মানসিক নির্যাতনের সামিল। ছেলে-মেয়েরা যদি গান শিখতে চায়, যদি খেলাধূলা করতে চায়, তবে তাদেরকে এ সুযোগ দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী সভাপতিত্বে উদ্বোধনের সময় সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এসব কথা বলেন।  সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলি রানী বৈষ্ণব’র পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ’র সহধর্র্মিনী মাশকুরা হোসাইন দিনা, শিক্ষক অসিম চন্দ্র বর্মন, মফিজুর রহমান, আবুল হাসান, মো. শওকত আলী আহমদ, আতাউর রহমান, শিক্ষার্থী অভিভাবক মো.আপ্তাব মিয়া প্রমুখ। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn