আল-হেলাল :: সুনামগঞ্জের আদালতের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সিলেটের বিশ্বনাথের আদম ব্যবসায়ী সিজিল আহমদ সাহানকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার,দশঘর ইউনিয়নের ,চান্দভরাং গ্রামের আনজব আলীর ছেলে। সিজিল একজন প্রতারক আদম ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের সদস্য বলে জানান, স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশগামী প্রতারিত ছাত্ররা। জানা যায় সিজিল সিলেটের কানিজ প্লাজা শপিংয়ের চতুর্থ তলায় এক্টেপ গ্লোবাল টাচ্ নামে ট্রাভেলস খুলে বিভিন্ন মাধ্যমে জাল ভিসা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বড় ভাই কামরুজ্জামান সেবুল সিজিল কৃত প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেবার অঙ্গিকার করে আজ পর্যন্ত লোকজনের টাকা ফেরত দেয়নি। ওয়ারেনটভূক্ত আসামী সিজিল বর্তমানে আত্মগোপন করে কোথায় আছে কেউ জানেনা। সুনামগঞ্জের আমলগ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ সালের ডিসেম্বরে সিজিলের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দায়ের করেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের জয়সিদ্ধি গ্রামের মোঃ আব্দুল কাহারের পুত্র মোঃ আবু সুফিয়ান।
মামলার বিবরণে প্রকাশ,প্রতারনার উদ্দেশ্যে সিজিল বাদী আবু সুফিয়ানকে ইউক্রেন পাঠানোর নামে ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার হাতিয়ে নেয়। পরে বাদীকে টাকা ফেরতের নামে ব্র্যাক ব্যাংক এর তিনটি চেকে প্রদান করে। চেক তিনটি জমা দিলে আসামীর একাউন্টে অপর্যাপ্ত তহবিল উল্লেখ করত: ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আসামীর প্রদানকৃত ২টি চেক ডিজঅনার করেন। টাকা ফেরত না পাওয়ায় বাদী আদালতে ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলা রায়ে বিজ্ঞ আদালত,পলাতক আসামী সিজিল আহমেদ (সাহান) কে ৬ মাস করে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডাদেশ এর সাজা পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট সিলেট ও বিশ্বনাথ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। এরপরও ঐ প্রতারক কে গ্রেফতার করতে পারছেনা পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার (ওসি) মোঃ সামসুদ্দোহা পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী যেই হউকনা কেন আমরা তাকে গ্রেফতার করবই। একদিন না একদিন আইনের হাতে আজ না হয় কাল তাকে ধরা পরতেই হবে। বাদীপক্ষে এই ২টি মামলা পরিচালনা করেন সুনামগঞ্জের জর্জ কোটের বিজ্ঞ আইঞ্জিবী এডভোকেট মতিউর রহমান পীর।