- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

সাতছড়ি বনে ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ১০টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করেছে র্যাব। বেশ কয়েকটি বাংকার খুঁড়ার পর একটি বাংকার থেকে এসব গোলা উদ্ধার করা হয়। র্যাব-৯ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত থেকে এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব। কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হয়তো এগুলো এখানে এনে জড়ো করেছিল। কিন্তু তারা তা ব্যবহারের সুযোগ পায়নি। তিনি বলেন, সাধারণ সন্ত্রাসীরা এগুলো ব্যবহার করার জন্য এখানে নিয়ে আসেনি। দেশে এবং দেশের বাইরের কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি। ২০১৪ সালে ৫ দফা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারও গোয়েন্দা তথ্য ছিল এখানে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে। আমরা বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট দিয়ে সন্দেহজনক সবগুলো স্থানে সার্চ করে একটি বাংকার থেকে প্লাস্টিকের কন্টেইনারে রাখা ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার করি। অভিযান সমাপ্ত করা হলেও গোয়েন্দা নজরদারী থাকবে। আরও দুই একটি স্পটে সার্চ করা হবে। অস্ত্রের উত্স জানতে বেশ কিছু সময় লাগবে। আগের অস্ত্রের সঙ্গে এগুলোর মিল রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো আগেরগুলোর মতো কি-না তা এখনই বলা যাবে না। কতদিন আগে এগুলো এখানে রাখা হয়েছিল তাও এখনই বলা সম্ভব নয়। দেশীয় সন্ত্রাসীরা এর সাথে সম্পৃক্ত কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মনে হয় না। কারণ এগুলো সাধারণ সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করার মতো নয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা অভিযান চালানো হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা, ১৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফা এবং ১৬ ও ১৭ অক্টোবর চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ১২টি বাংকার ও তিনটি গর্ত থেকে মেশিনগান, রকেট লাঞ্চার, রকেট চার্জার, বিমান বিধ্বংসী বুলেট, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলাসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে উদ্ধার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহূত ডায়েরি, বই, চাঁদার রশিদসহ মালামাল। এ ঘটনায় পৃথক ছয়টি মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে প্রতিটি মামলারই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]