- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

সাবেক মন্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান 

বার্তা ডেক্সঃ গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ইরানি-ব্রিটিশ নাগরিক ও ইরানের সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলিরেজা আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে কখন তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। খবর বিবিসির।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকবরীর স্ত্রী মরিয়ম জানিয়েছে, গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) কর্তৃপক্ষ আলিরেজার সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য পরিবারকে কারাগারে যেতে বলেছে। তাকে নির্জন কারাকক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম দাবি করেছে, মূলত তিনি ছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ‘মূল গুপ্তচর’, ইরানি গোয়েন্দারা তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার গুপ্তচরবৃত্তির মুখোশ খুলে দিয়েছে।

২০১৯ সালে আলিরেজা আকবরীকে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাজ্যের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরান তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। আলিরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে ইরানকে আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সতর্ক করে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মত নৃশংস পদ্ধতি ইরানের অনুসরণ করা উচিত নয়।

এর আগে বুধবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইটে বলেন, ‘এ এক বর্বর শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড। তারা মানুষের জীবনের কোনো তোয়াক্কা করে না।’চলতি সপ্তাহে ইরান আকবরীর একটি ভিডিও পোস্ট করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে জোর করে তার স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। বিবিসির পার্সি সার্ভিস বুধবার আলিরেজার কাছ থেকে পাওয়া একটি অডিও বার্তা সম্প্রচার করেছে। অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। ক্যামেরার সামনে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে তিনি এ অপরাধ করেননি।

এদিকে আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে ইরানকে আহ্বান জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মার্কিন কূটনীতিক বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন ‘আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে অযৌক্তিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলিরেজা আকবরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং তার সাজা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ সংস্কারবাদী নেতা মোহাম্মদ খাতামি ইরানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আলিরেজা দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন খাতামি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]