- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

সুনামগঞ্জের ২ নারীশ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন

বার্তা ডেক্সঃঃস্কুল শিক্ষিকা মন্দিরা রানী ভট্টাচার্য্য। সমাজে শিক্ষার আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অজোপাড়া গায়ের স্কুলে থেকেও তিন ছেলেকেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন। ফল স্বরূপ বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জননীর মর্যাদা পেয়েছেন। হাতে ওঠেছে জয়িতা সম্মাননা। মন্দিরা রানি ভট্টাচার্য্যসহ পাঁচ নারী নিজেদের সফলতার জন্য শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে জিতে নিয়েছেন সম্মাননা পুরস্কার। এরমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ২ জন করে এবং মৌলভীবাজারের একজন।

শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে ‘জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমে সিলেট বিভাগের সফল নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতার স্বীকৃতি পান তারা। এরমধ্যে অর্থনৈতিক সাফল্যে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ফরিদা আক্তারা চৌধুরী, নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে এগিয়ে যাওয়া নারীদের মধ্যে মৌলভীবাজারের পারভীন আক্তার, শিক্ষা ও চাকরিতে সুনামগঞ্জের নাসরিন আক্তার খানম এবং সমাজ উন্নয়নে এই জেলারই আরেক নারী ফরিদা পারভীন শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সিলেট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালে যুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিরা আক্তার প্রমুখ।

এবার বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাওয়া ফেঞ্চুগঞ্জের মন্দিরা রানি ভট্টাচার্য্য উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বাদেদেউলি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় হজরত গোলাপ শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। মন্দিরা ভট্টাচার্যের স্বামী রতন চক্রবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি। পারিবারিক জীবনে তিন ছেলের জননী মন্দিরার বড় ছেলে রূপন চক্রবর্তী সহকারী স্টেশন মাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় ছেলে রমেন চক্রবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগে মাস্টার্স করে সিনিয়র অফিসার হিসেবে সোনালি ব্যাংক সিলেটে কর্মরত। তৃতীয় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে স্নাতকে অধ্যয়নরত। সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]