১০ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারও জেলা বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে টিকে থাকা তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর ও জামালগঞ্জের পাকনার হাওরও যেকোন সময় চলে যেতে পারে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- পাউবো’র আওতাধিন ৪২টি হাওরের মধ্যে ইতিমধ্যে ২২টি হাওর তলিয়ে গেছে। হুমিকর মধ্যে রয়েছে অন্যসবকটি হাওর। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় বাকিগুলোও তলিয়ে যাবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন- স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে শনির হাওর টিকিয়ে রাখার জন্য রাত-দিন কাজ চলছে, পানি আর সামান্য বাড়লেই যেকোন তলিয়ে যেতে পারে এই বৃহৎ হারওটি। তিনি জানান- জরুরিভাবে তাহিরপুর ত্রাণসামগ্রী না-পাঠালে মানুষ না-খেয়ে মরবে।
দেখার হাওর পাড়ের জনপ্রতিনিধি লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ বলেন- দেখার হাওরে চার থানার কৃষকের জমি আছে, সব জমি তলিয়ে গেছে। ফলন হারিয়ে এই হাওরে কৃষকরা এখন নিঃস্ব। ঘরে ঘরে এখন অভাব, সরকারি সাহায্য জরুরি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহেদুর হক বলেন- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতি হয়েছে। যা টাকার পরিমাণে যা ১ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।