বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু ভাটি বাংলার নেতা ছিলেন না,তিনি ছিলেন সংসদী গনতন্ত্রের এক উজ্জল নক্ষত্র। যে নেতা কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তিনি ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক,বক্তৃতার জাদুকর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ব্যতিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ হতো প্রাণহীন। যিনি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিকে আজীবন বুকে ধারণ করে গেছেন। তিনিই একমাত্র নেতা মৃত্যুর আগপর্যন্ত অসুস্থতা নিয়েও সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

সংসদীয় গনতন্ত্রে তার অবদান ভুলার নয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মীনি ড জয়া সেনগুপ্ত স্বামীর পাশে ছায়ার মত কাজ করে গেছেন, জয়া সেনগুপ্তের মাঝে আমরা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে জয়া সেনগুপ্ত কে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, আপনাদের কাছে আমার আহবান সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বর্ষীয়ান এ নেতা স্মৃতি কে ধরে রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। গতকাল বুধবার বিকেল ৪ টায় দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত দিরাই বিএডিসি মাঠে বিশাল শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের যৌথ পরিচালনায় শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, মহিবুর রহমান মানিক এমপি, আব্দুল মজিদ খান এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সামছুনাহার বেগম শাহানা রব্বানী এমপি, সাবেক সচিব এম এইচ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মীনি ড. জয়া সেনগুপ্ত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত। বক্তব্য রাখেন দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া,সিলেট জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রণজিত সরকার,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়,পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশু রায়,কৃষক লীগের আহবায়ক তাজুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মীনি ড.জয়া সেনগুপ্ত বলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজের পরিবারের চেয়েও দিরাই শাল্লার মানুষ কে বেশী ভাল বাসতেন। ছোট বেলা মা-বাবা হারানো অনাথ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কে আপনারই প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ বানিয়েছেন। দিরাই শাল্লার মানুষ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কে ৮ বার এমপি নির্বাচিত করেছেন। তার মরদেহ হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রমাণ করে যে এলাকার মানুষ তাঁকে কত ভালবাসে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মৃতি ধরে রাখতে আমি আপনাদের হয়ে কাজ করে যেতে চাই। এর আগে দিরাই-মদনপুর পয়েন্ট থেকে দিরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহ জয়া সেনগুপ্ত ও অতিথিদের স্বাগত জানান উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn