- সুনামগঞ্জ বার্তা - http://sunamganjbarta.com -

স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর পদ্ধতি

কিছু দিন ব্যবহারের পর স্মার্টফোনের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব ফোনের র‌্যাম, প্রসেসর কিংবা মেমোরি কম সেসব স্মার্টফোনে গতি কিছুটা হলেও কমে আসে। তবে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে বা নিয়ম মানলে স্মার্টফোনের গতি বেড়ে যায়। এমন নয়টি উপায় জানানো হল, যেগুলো স্মার্টফোনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে।

এনাবল ডেটা সার্ভার মোড : এনাবল ‘ডেটা সার্ভার’ অপশনটি ক্রোম ব্রাউজারে চালু করলে পেজ আসতে খুব বেশি দেরি লাগে না। ফলে কম ডেটাতেই পেজ খুব দ্রুত লোড হবে। তবে এ গতি পেতে গেলে আপনাকে ছবি এবং ভিডিওর রেজ্যুলেশনে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। এছাড়াও এখানে ডেটার গতিও একটা বড় বিষয়।

ফোনের হোম স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা : ফোনের হোম স্ক্রিন পরিষ্কার রাখলেও ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়। কোনো লাইভ ওয়ালপেপার রাখা, নিউজ এবং অন্যান্য অ্যাপ আপডেট হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু ল্যাগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ফোন আনলক করতে গিয়ে রিফ্রেশ হয়ে থাকে। ফলে কিছুটা গতি বাড়ে। এছাড়াও ফোনে বেশ কয়েকটি উইন্ডো খোলা রাখলেও গতি কিছুটা কমে যায়।

স্বয়ংক্রিয় সিঙ্ক বন্ধ করা : ফোনে এখন অ্যাপ সেটিংসে বেশ কিছু অপশন রয়েছে। সেখানে সেটিংস থেকে আপনি অ্যাপ সেটিংসগুলোয় একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। যদি দেখেন অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয় সিঙ্ক হচ্ছে তবে তা বন্ধ করে দিন। এতে স্মার্টফোনের গতি বেড়ে যাবে।

টাস্ক কিলার অ্যাপকে স্লো করে : আপনি ঠিকই শুনেছেন। টাস্ক কিলার প্রচণ্ড পরিমাণে কমিয়ে দেয় অ্যাপ ব্যবহারের গতি। এ কারণে অনেক সময় দেখা যায়, বামদিকে বা মাঝে থাকা অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে খুব ভালো কাজ করে থাকে। অনেক সময় টাস্ক কিলার অ্যাপকে বন্ধ করে দিলেও তা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। ফলে যেমন ফোনের স্পিড কমে আসে তেমনি ব্যাটারিও খরচ হয়।

ক্যাশ ডেটা পরিষ্কার করা : ফোনে বিভিন্ন সশয় ব্রাউজ করার পর ক্যাশ ডেটা জমা হয়। এর ফলেও ফোনের গতি কমে আসে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করলে গতি বেড়ে যায়।

ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ বন্ধ করা : অনেক সময় আমরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করি ঠিকই। কিন্তু অ্যাপটি পুরোপুরি বন্ধ করি না। সেটি দেখা যায় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতেই থাকে। এমন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ যেমন দ্রুত ব্যাটারি শেষ করে তেমনি আবার ফোনের গতি কমিয়ে দেয়।

কাস্টম রম ইনস্টল করা : আপনার ফোনের কাস্টম রম ইনস্টল করার চেষ্টা করুন। এর ফলে দেখা যাবে আপনার ফোনের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ।

অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা : সব সময় অপারেটিং সিস্টেম যদি আপডেট রাখা যায় তবে ফোনের গতির কোনো পরিবর্তন হয় না। অপারেটিং সিস্টেম যত আপাডেট হবে এর সফটওয়্যার ও অ্যাপ পরিচালনায় তত কম সময় লাগবে।

ফ্যাক্টরি রিসেট : যদি একেবারেই ফোনটির গতি কমে যায়, কোনো কাজ করতে গিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয় তবে ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে দেয়া ভালো। তাহলে ফোনটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়ার আগে ফোনের প্রয়োজনীয় ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় সেগুলো হারাতে হতে পারে।

সূত্র : টেকশহর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on Facebook [১]Share on Google+ [২]Tweet about this on Twitter [৩]Email this to someone [৪]Share on LinkedIn [৫]