সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, ‘হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। কারণ বোরো ফসল নিয়ে কৃষকরা সারা বছর স্বপ্ন দেখেন। একটি মাত্র ফসলের উপার্জন   থেকে সারা বছরের জীবন যাপনসহ পরিবারের সকল খরচ জোগান নেন তারা। কিন্তু কোন কারণে সেই সোনালী ধান তলিয়ে গেলে সারা বছরের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর বাঁধ ভেঙ্গে অনেক হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসল ঘরের তোলা সম্ভব হয়নি। এবারো বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় কৃষকদের পাহারাদারের ভূমিকায় থাকা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না। হাওরের ফসল রক্ষা ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কৃষকদের আরো সচেতন হতে হবে। হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পাড়ের স্থানীয় কৃষকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। ’ হাওর ও জলমহাল ব্যবস্থাপনায় কৃষিজীবী-মৎস্যজীবীদের অংশগ্রহণ এবং হাওরের ফসল সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রবিবার দুপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এলআরডির আয়োজনে এবং পানি অধিকার ফোরাম, ইরা ও পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামছুল হুদার সভাপতিত্বে ও ইরার টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকল্পের সাবেক সমন্বয়কারী তাওহিদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধূর্জটি কুমার বসু, অ্যাড. ড. মো. মফচ্ছির মিয়া, সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার মজুমদার,  পানি অধিকার ফোরামের সাবেক মহা পরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ইরার নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn