প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে সংযত হয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একাধিক মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে ডেকে নিয়ে তিনি এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌমন্ত্রী। সাংবাদিকদের হাসতে হাসতে তিনি বলেন, এমন দুর্ঘটনা বাইরের দেশে নিয়মিত ঘটে। উদাহরণ হিসেবে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে, তা নিয়ে কোনও হইচই নেই। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই হইচই শুরু হয়ে যায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার এই কথা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন মন্তব্য করা যাবে না। তাই সবসময় সতর্ক হয়ে কথা বলতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ না করে মহারাষ্ট্রের সড়ক দুর্ঘটনার রেফারেন্স দেওয়া ঠিক হয়নি। এদিকে এই ঘটনায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ জুলাই) বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে ৯ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে রয়েছে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ক্ষমাপ্রার্থনা, বাসচালকদের গ্রেফতার, লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি চালানো বন্ধ ইত্যাদি। এসব দাবি বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে হোটেল রেডিসনের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ঘেঁষে রাস্তার বাঁ-পাশে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর ওপর উঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn