জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ আট নেতাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতালে সাড়া দেয়নি সাধারণ মানুষ। সুনামগঞ্জের কোথাও হরতালের প্রভাব দেখা যায়নি। মাঠে দেখা মিলেনি জামায়াত নেতা-কর্মীদের। অন্যান্য কর্মদিবসের মতো স্বাভাবিকভাবে চলছিল যানবাহন। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজটও দেখা গেছে। সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার পরিবহনও। বৃহ¯পতিবার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে মোতায়েন ছিল পুলিশ। পাশাপাশি র‌্যাবের টহলও ছিল। তবে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে যানবাহনও। দোকানপাট, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খোলা ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে দলটির নেতাকর্মীরা যেসব সম্ভাব্য স্থানে বিক্ষোভ করতে পারে সেসব স্থানে বৃহ¯পতিবার সকাল থেকেই নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশ ছিল সতর্ক অবস্থানে।

উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদসহ আট নেতাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ এবং বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যার হরতাল ও শুক্রবার দোয়া দিবস পালন করবে তারা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn