আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপাতত মনোনয়ন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। এখন সুসংগঠিতভাবে দলকে ঐকবদ্ধ করার কাজ করুন। আগামী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনের আগে যথাসময়ে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। জনগণের কাছে যারা অধিক গ্রহণযোগ্য তারাই দলের মনোনয়ন পাবেন। শনিবার সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কারা মাঠে কাজ করছেন, কার জনপ্রিয়তা কতটা। বিরোধী দলগুলোরও খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন খুব নিকটবর্তী। যিনি নির্বাচনের মাঠে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাই হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন,  আমাদের প্রতীক হচ্ছে নৌকা আর নেত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। মির্জা ফখরুলের নির্বাচন সংক্রান্ত এক বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে আওয়ামী লীগ ২৫টি সিটও পাবে না। অহংকার করবেন না। আপনি কিভাবে সিট বণ্টন করেন। ভোটের মালিক জনগণ। এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে নীলনকশা করেছেন। একে একে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ভোট লন্ডনে হবে না, ভোট হবে বাংলাদেশে। অচিরেই বিএনপির খুশিতে ভাটা পড়বে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধি অপশক্তি কেউ এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। এক্ষেত্রে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, দু’চারজন সন্ত্রাসীর কারণে দলের এবং সরকারের অর্জন ম্লান হতে পারে না। শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সন্ত্রাসী, খুনি যেই হোক; এসব কর্মকাণ্ডের সামনে বা নেপথ্যে যেভাবেই থাকেন তাদের রেহাই নেই। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn